Advertisement
Advertisement
Haridwar

বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও উঠতে দেওয়া হল না ট্রেনে, হরিদ্বারে চরম ভোগান্তি বাঙালি পরিবারের

রেল পুলিশকে জানালেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

The Bengali family was not allowed to board the train at Haridwar

প্রতীকী ছবি।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 24, 2024 9:46 am
  • Updated:March 24, 2024 9:46 am

স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে বারাসত (Barasat) থেকে হরিদ্বারে (Haridwar) তীর্থ করতে গিয়েছিলেন ছেলে। সঙ্গে গিয়েছিলেন নিমতার (Nimta) বাসিন্দা দিদির পরিবার। কিন্তু ফেরার সময় ঘটল বিপত্তি! বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও হরিদ্বার থেকে তাঁদের কাউকেই উঠতে দেওয়া হল না ট্রেনে। তাই বাধ্য হয়ে শনিবার ভোরে তাঁরা বাসে করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন। বাংলার ছয় রেলযাত্রীর হরিদ্বারে এইভাবে হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে।
বারাসত নবপল্লি অশোক কলোনির বাসিন্দা সৌদীপ ভট্টাচার্য পেশায় বারাসত কলেজের (Barasat College) কর্মী । দিন কয়েক আগে তিনি বৃদ্ধ বাবা শম্ভুনাথ ভট্টাচার্য, মা সন্ধ্যা ভট্টাচার্যকে নিয়ে তীর্থে যান হরিদ্বারে। সঙ্গে গিয়েছিলেন নিমতার বাসিন্দা দিদি চন্দনা চক্রবর্তী, তাঁর স্বামী জয়ন্ত চক্রবর্তী এবং মেয়ে সম্ভাবী। শুক্রবার রাতে হরিদ্বার স্টেশন থেকে তাঁদের দেরাদুন-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ওঠার কথা ছিল। সেই মতো ট্রেনের সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে তাঁরা হরিদ্বার রেল স্টেশনের নির্দিষ্ট প্ল‌্যাটফর্মে হাজির ছিলেন। অভিযোগ, স্টেশনে ট্রেন আসার পর তাঁরা দেখেন, সংরক্ষিত কামরার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আগে থেকেই সেই কামরায় প্রচুর লোক উঠে রয়েছে। ট্রেনে উঠিয়ে নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তারা রেল পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁদের কোনও সহযোগিতা না করে রেল পুলিশ বিষয়টিকে এড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ।

[আরও পড়ুন : গাড়ির ভিতর লক্ষ-লক্ষ টাকা, ভোটের মুখে বিপুল নগদ উদ্ধার কোলাঘাটে]

এরই মধ্যে নির্ধারিত সময়ে তাঁদের চোখের সামনে দিয়েই ট্রেনটি চলে যায়। অচেনা এলাকায় কী করবেন বুঝতে না পেরে বাধ্য হয়েই সারারাত হরিদ্বার রেলস্টেশনে কাটান তাঁরা। সেই সময়ও ওই পরিবার রেল কর্মীদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তখনও কেউ বিষয়টিতে আমল দেয়নি বলেও অভিযোগ। সৌদীপ বলেন, “প্রায় চার মাস আগে ট্রেনের কনফার্মড রিজার্ভেশন টিকিট কাটার পরও এরকম দুর্ভোগ পোহাতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। একই কারণে আমাদের মতো বাংলার বহু রেলযাত্রীও হরিদ্বার থেকে ট্রেনে উঠতে পারেনি। রেলের কাউকে জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে চার ঘণ্টা বাসে করে দিল্লি (Delhi) আসি। এরপর কীভাবে বাড়ি ফিরব এই ভেবে চরম উৎকণ্ঠায় আছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : কলকাতা, কৃষ্ণনগরের পর করিমপুর, তালা ভেঙে মহুয়ার আস্তানায় ঢুকল সিবিআই]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ