Advertisement
Advertisement

জাতীয় সড়কের পাশে পথনির্দেশে ব্রাত্য বাংলা ভাষা, অসন্তোষ দুর্গাপুরে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাংলা ভাষাকে অপমান করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

The direction of the road is not written in Bengali
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 10, 2018 6:36 pm
  • Updated:June 10, 2018 6:36 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ছয় লেনের সম্প্রসারিত ঝাঁ চকচকে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক৷ মাঝে মধ্যেই রয়েছে ওভারব্রিজ। মাঝে ডিভাইডারের সবুজ গাছ গরিমা বাড়িয়েছে জাতীয় সড়কের৷ কিন্তু এই জাতীয় সড়কেই ব্রাত্য বাংলা ভাষা৷ এ নিয়ে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বাঙালির মধ্যে৷ ইংরেজি ও হিন্দির দাপটে বাংলা ভাষাটাই গায়েব ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মাইলফলক থেকে৷ যাতায়াত করার সময় সাধারণ বাঙালি পরিবারের কাছে ভাষাগত সমস্যার জেরে রাস্তা ঠাহর করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে বলে উঠছে অভিযোগ৷ বিষয়টি যে প্রশাসনের নজরে আসেনি, তা নয়৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে৷

জানেন, এখন কীভাবে মুর্শিদাবাদে আয়োজন হয় নবাবি ইফতারের? ]

Advertisement

আসানসোল থেকে পানাগড় পর্যন্ত জাতীয় সড়ক চার লেন থেকে ছয় লেনের করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে মাইলফলক৷ বড় বড় মাইলফলকে জ্বলজ্বল করছে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় লেখা গন্তব্যের দূরত্ব৷ কিন্তু কোথাও এক ছটাক বাংলায় লেখা নেই৷ তাবলে কি ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কোথাও বাংলায় কিছুই লেখা নেই? আছে৷ কিন্তু তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হচ্ছে না৷ ডিভিসি মোড়ের কাছে ফলক রয়েছে বাংলায়৷ তাতে একটি শব্দ বাংলায় লেখা রয়েছে। ‘গোপিনাথপুর’। কিন্তু এই জায়গাটি কোথায় তা জানে না অধিকাংশ দুর্গাপুরবাসীই৷ সড়কের মাঝে মাঝে এমন বাংলা ভাষায় জায়গার নাম লেখা থাকলেও তার অস্তিত্ব খুঁজতে পর্যটক তো দূর অস্ত, কালঘাম ছোঁটে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই৷ এইভাবে বাংলা ভাষাকে অপমান করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এমনটাই অভিযোগ দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের৷

Advertisement

প্রতিবেশীর বাড়িতে চোলাই মদের দোকান, প্রতিবাদ করে আক্রান্ত দম্পতি ]

শুধু দুর্গাপুরই নয়, একই অভিযোগ এনেছেন আসানসোল ও পানাগড়ের বাসিন্দারাও৷ যাঁরা এই জাতীয় সড়ক ব্যাবহার করে কোথাও যাচ্ছেন, অন্য ভাষা না জানার অপরাধবোধে ভুগছেন তাঁরা৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এমন কারবারে ক্ষুব্ধ দুর্গাপুরের বুদ্ধিজীবীরাও৷ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুশীল ভট্টাচার্য জানান, “এইভাবে আঞ্চলিক ভাষাকে দুর্বল করার একটা চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ যে কোনও অঞ্চলেই সেই অঞ্চলের ভাষাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে জনগনের স্বার্থে প্রচার করার চল আছে৷ এই ক্ষেত্রে কেন তা মানা হয়নি তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন৷”

বিষয়টি নজরে এসছে প্রশাসনেরও৷ দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, “আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি৷ তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷” দুই নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুর্গাপুরের প্রকল্প আধিকারিক অরিন্দম হান্ডিক জানান, “প্রথম দিকে এই ভাষাগত সমস্যা হয়েছে৷ ওই ফলকগুলি খুলে ফেলা হবে৷ সেখানে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতেই লেখা থাকবে৷” ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরুও হয়ে গেছে বলে জানান তিনি৷

ছবি: উদয়ন গুহরায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ