রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: পর্যটকদের জন্য সুখবর! আগামী ১৫ জুন থেকে রাজ্যের বনাঞ্চলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এবার পর্যটকদের জন্য বেশকিছু এলাকা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর।
বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ এই সিদ্ধান্তের খবর জানিয়ে বলেন, “বেশ কয়েক বছর থেকেই পর্যটন ব্যবসায়ীরা বর্ষার সময় বনাঞ্চলের বেশ কিছু খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছিলেন৷ রাজ্য পর্যটন দপ্তর থেকেও এই মর্মে আবেদন রাখা হয়েছিল। সেই কারণে এবার থেকে রাজ্যের কিছু বনাঞ্চল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা এই সব এলাকায় বর্ষার সময় প্রবেশ করতে পারবেন। অরণ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।”
[মেসিই ধ্যান-জ্ঞান চা বিক্রেতার, ইছাপুরে ‘আর্জেন্টিনা’ চায়ের দোকান]
প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে রাজ্যের সব বনাঞ্চল তিনমাসের জন্য বন্ধ থাকে। বর্ষার মরশুমে বন্য প্রাণীদের প্রজননের সময়। এছাড়া এই সব বনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরে থাকেন। নতুন চারাগাছ রোপণের আদর্শ সময় এই বর্ষাকাল। সেই কারণে তিনমাস বনাঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হচ্ছে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন বনাঞ্চল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর। শুধু যে এই সব বনাঞ্চল খোলা রাখাই হচ্ছে, তাই নয়, পর্যটকদের জন্য এই সব এলাকায় বর্ষা উপভোগ করার যাবতীয় ব্যবস্থা রাখছে বনদপ্তর। টিনের চালে ঝম ঝম বৃষ্টির শব্দ উপভোগের ব্যবস্থা থাকছে পর্যটকদের জন্য। রাজ্য বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজ্য বনদপ্তরের কালিপুর জঙ্গল ক্যাম্প, ধূপঝোড়া ইকো টুরিজম রিসর্ট, পানঝোরা জঙ্গল ক্যাম্প, মূর্তি জঙ্গল ক্যাম্প, মৌচুখি ইকো ট্যুরিজম রিসর্ট, জলদাপাড়ার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ইকো পার্ক, মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প, চাপরামারি ওয়াচ টাওয়ার, রাজাভাতখাওয়া, সানতালাবাড়ি, সিকিয়াঝোড়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টার পর্যটন ব্যবসার স্বার্থে খোলা রাখা হচ্ছে।
[তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন! প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন আবু হাসেম]
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ফোরামের সভাপতি পার্থ সারথী রায় বলেন, “অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দাবি করেছিলাম। এবার দাবি পূরণ হল। প্রতি বছর বর্ষায় ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখ দেখতেন। এবার থেকে আর এই এলাকার ব্যবসায়ীরা আর লোকসানের মুখ দেখবেন না।”