সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ফের জঙ্গলমহলে রয়্যাল বেঙ্গল আতঙ্ক। আবার সেই লালগড়। জঙ্গল থেকে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে বেরিয়ে এল বাছুর। বাঘের আতঙ্কে কাঁপছেন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরের অবশ্য অনুমান, বছুরটির গায়ে যে ক্ষত দেখা গিয়েছে তা বাঘের থাবার ক্ষত নয়।
[বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করায় শ্বশুরবাড়িতে বোমা ছুড়ল গুনধর জামাই]
শনিবার বিকালে ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার বাঁধগোড়া গ্রামের গরু, বাছুরগুলি আর পাঁচটা দিনের মতোই গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে চরতে যায়। সন্ধ্যাবেলায় সেই দলের একটি বাছুর প্রচণ্ড চিৎকার করতে করতে গ্রামে ফেরে। দেখা যায় বাছুরটির সারা শরীরে অনেকগুলি জায়গায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন। আর এই ঘটনার পরেই লালগড়ের বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। কয়েক মাস আগে এই লালগড়ের আমলিয়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জঙ্গলে গিয়ে আহত হয়েছিল গরু, বাছুর। বেশ কয়েকটি গরু আবার জঙ্গলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তারপরই বন দপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরাতে ধরা পড়েছিল রয়্যাল বেঙ্গলের ছবি। শনিবার লালগড়ের বাঁধগোড়া গ্রামের এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লালগড়ের আমলিয়া, আমডাঙা, আজনাশুলি, বীরকাড়, পডিহা-সহ বিভিন্ন গ্রামে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। এদিকে আবার গত কয়েক দিন ধরেই লালগড়ে হাতির তাণ্ডবে ঘুম ওড়েছে গ্রামবাসীদের। জঙ্গলে প্রায় দলমার প্রায় ১০০টি হাতি ঢুকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুণ।
[গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে আরামবাগে ধৃত দেওর, গ্রেপ্তার মদতদাতা স্বামী]
যদিও লালগড়ের জঙ্গলে বাঘের নেই বলেই দাবি করেছেন বনদপ্তর। বনকর্তাদের বক্তব্য, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে হুরাল, শিয়ালের মতো হিংস্র জন্তু দেখতে পাওয়া যায়। হুরাল অনেক সময়ই ছাগল, বাছুর আক্রমণ করে। বস্তত, আক্রান্ত বাছুরটি গায়ে যে ক্ষত দেখা গিয়েছে, তা বাঘের থাবার নয় বলে মনে করছেন বনকর্তারা। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “বাছুরটির গায়ে যে দাগ রয়েছে তা থাবা বা চোয়ালের আঘাতের নয়। তাই বাঘের কথা এখনই বলা যাবে না। কীভাবে বাছুরটির গায়ে ক্ষত হল তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।”