সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করবে একথা আগেই জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনেও দোষীদের শাস্তির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের উপর হামলার ঘটনা বরদাস্ত নয়, জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হল পুলিশের উপর হামলা চালানোর দুই মূল অভিযুক্তকে। ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। ধৃতদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও পুলিশের উপর হামলা চালানোর মামলা রুজু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে পুলিশের টহলদারি চলছিল। তখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু আচমকা প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। লকডাউন না মেনে রাস্তায় ভিড় করেন। তখনই লকডাউন কার্যকর করতে ভিড় সরাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ। পুলিশের ২টি গাড়ি ভাঙচুর করা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও বোতল ছোঁড়া হয়। দু’জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ ও র্যাফ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয় যে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। রাত থেকেই এলাকায় শুরু হয় ধরপাকড়।
[আরও পড়ুন: মৃত্যু নিয়ে অডিট কমিটি কেন? রাজ্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দিলীপের]
এই ঘটনা নিয়ে নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘একটা ঘটনা হয়েছে। খুব খারাপ ঘটনা। তবে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আমিও চাই দোষীদের কড়া শাস্তি হোক। কিন্তু নিরপরাধদের বাঁচিয়ে। আমি কখনও দোষীদের জাত-বর্ণ-ধর্ম দেখিনি, এখনও দেখব না। কিন্তু এটা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে। শকুনের মতো বসে রয়েছে মরার অপেক্ষায়। এটা বাংলা, উত্তরপ্রদেশ বা দিল্লি নয়।’ এরপরই তিনি করোনা যুদ্ধে শামিল চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী-পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এরা দিনভর লড়াই করছেন। এদের ভুল ধরা ছাড়া কোনও কাজ নেই বিরোধীদের। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। ভুল না ধরে এঁদের পাশে থাকুন।’