সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কর্মিসভা চলাকালীন একদল দুষ্কৃতী ডায়মন্ড হারবার লোকসভার কেন্দ্রের প্রার্থী নীলাঞ্জন রায় ও তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের খুনের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করল বিজেপি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থানার পূজালির কাছে রথতলায়। বজবজ পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ওই দুষ্কৃতীদল বিজেপির প্রার্থী-সহ নেতা-কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন বজবজ থানার রথতলায় রবিবার বেলা বারোটা থেকে কর্মীদের নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়। একটি ভাড়া করা হলেই চলছিল ওই নির্বাচনী কর্মিসভা। সাড়ে বারোটা নাগাদ বেশ কিছু দুষ্কৃতী লাঠি, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই হলের সামনে এসে জড়ো হয়। বজবজ পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ মনসুরের নেতৃত্বে ওই দুষ্কৃতীদল সেখানে দাঁড়িয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে শুরু করে।
নীলাঞ্জনবাবুর আরও অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীদল তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতা-কর্মীদের খুনের হুমকিও দেয়। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওই স্থান ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দেয়।
বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) জেলা সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু জানিয়েছেন, ওই কর্মিসভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলীয় প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়-সহ জেলার সভাপতি অভিজিৎ দাস, রাজ্য বিজেপি নেতা হরিকৃষ্ণ দত্ত এবং স্থানীয় কর্মীরা। দুষ্কৃতীরা প্রার্থী-সহ তাঁদের সেখানে আক্রমণের উদ্দেশ্য নিয়েই এসেছিল বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি আরও জানান, রবিবার ওই এলাকায় তাঁদের বাড়ি বাড়ি প্রচারের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ওই দুষ্কৃতীরা থাকায় দীর্ঘক্ষণ তাঁরা ওই হলঘর থেকেই বের হতে পারেননি। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে আনে। এর ফলে ওই এলাকায় থাকা সমস্ত কর্মসূচি তাঁরা বাতিল করতে বাধ্য হন।
[আরও পড়ুন – রাহুলের প্রতিশ্রুতির টাকা পেলে স্ত্রীকে খোরপোশ দেব, আদালতে মন্তব্য অভিনেতার]
এপ্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল নেতা শক্তি মণ্ডল জানিয়েছেন, বিজেপির প্রার্থী, নেতা বা কর্মী কাউকেই কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায় করতে ও নিজেদের প্রচারের আলোয় আনতে বিজেপি চমকের রাজনীতি করছে। তবে এসব চমক দিয়ে ভোটে জেতা যায় না, ভোটে জিততে গেলে মজবুত সংগঠনের প্রয়োজন হয়।
ছবিঃ বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.