Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

পঞ্চায়েত পুনর্দখল ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি ধুন্ধুমার, রণক্ষেত্র তুফানগঞ্জ

পরিস্থিতি সামলাতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস. লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

TMC and BJP clashes in Cooch Behar, many injured

পরিস্থিতি সামলাতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস. লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 27, 2019 4:59 pm
  • Updated:September 27, 2019 5:03 pm

বিক্রম রায়, কোচবিহার: পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। শুক্রবার দুপুর নাগাদ তুফানগঞ্জের ২ নং ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করতে যান তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। বিজেপি সদস্যরা তাঁদের বাধা দিলে, দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়। কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

[ আরও পড়ুন: ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনি, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে পুরুলিয়ায় ধুন্ধুমার]

লোকসভা ভোটের পর উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভাল ফলাফলের পর দলবদলের হিড়িক পড়েছিল। বহু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে চলে যাওয়ায়, সেগুলি হাতছাড়া হয় রাজ্যের শাসকদলের। তবে সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতৃত্বের জনসংযোগ বেড়েছে। হৃত সমর্থন অনেকটা ফিরে পাওয়ায়, বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতও পুনর্দখল করে তৃণমূল। কোচবিহারের মাথাভাঙা,দিনহাটা, তুফানগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটা গ্রাম পঞ্চায়েতও এসেছে তৃণমূলের দখলে। এই রামপুর পঞ্চায়েতেও শুক্রবার বেশ কয়েকজন সদস্য তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ফলে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তাই এদিন ফিরে আসা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বেলা তিনটে নাগাদ পঞ্চায়েত কার্যালয় পুনরুদ্ধার করতে গিয়েছিল তৃণমূল। সেখানেই বিজেপি সদস্যরা তাঁদের বাধা দেওয়ায় শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। ভয়ে দিনেদুপুরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: তর্পণ করবেন জেপি নাড্ডা, পুরুলিয়ায় মৃত কর্মীদের অস্থিকলস কলকাতায় আনছে বিজেপি]

খবর পেয়ে বক্সিরহাট থানার পুলিশ পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু রাজনৈতিক সংঘর্ষ সামাল দিতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। যার ফলে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও কারোরই আঘাত তেমন গুরুতর নয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও থমথমে এলাকা। পুজোর আগে এমন একটি ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। রয়েছে পুলিশ পিকেট।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ