বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তাল কোচবিহার। গ্রাম পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে বোমাবাজির মুখে পড়লেন তুফানগঞ্জ দু’নম্বর ব্লকের বিডিও। বোমাবাজি এবং ইটবৃষ্টির মাঝে পড়ে এবার রক্ত ঝরল খোদ পুলিশকর্মীরও। তুফানগঞ্জের মহিষকুচির এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও অনেকেই। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
দিনকয়েক আগে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের দু’নম্বর ব্লকের মহিষকুচির এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় বিজেপি। সদ্যই তা পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল। তবে তা সত্ত্বেও ওই পঞ্চায়েতে কোনও তৃণমূল সদস্য ঢুকতে পারছিলেন না বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ২ নম্বর ব্লকের বিডিও ভগীরথ হালদার ওই গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যান। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় আচমকাই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বিডিওর গাড়ি ভাঙচুরও চলে। তাঁকে লক্ষ্য ছোঁড়া হয় ঢিলও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। তবে তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় হামলা। সেই খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নামানো হয় ব়্যাফ। এরপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ কাণ্ডের ছায়া মালদহে, গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন তরুণীকে]
এদিকে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর থেকে থমথমে তুফানগঞ্জের মহিষকুচি। এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত দোকানপাট। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরতো পারছেন না স্থানীয়রা। প্রতিদিনের এই রাজনৈতিক অশান্তিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা। পরিবর্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। পুলিশ ঠিকমতো ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই দাবি স্থানীয়দের।
দেখুন ভিডিও:
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস