Advertisement
Advertisement
কেন্দ্রীয় বাহিনী

পঞ্চম দফায় উত্তপ্ত রাজ্য, ভোটারদের প্রভাবিত করে কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় বাহিনীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ মন্ত্রীর বোনের বিরুদ্ধে।

TMC candiadate and booth agent beaten up by central force.

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 6, 2019 4:56 pm
  • Updated:May 6, 2019 4:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো :  প্রথম চার দফা বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হলেও, পঞ্চম দফার ভোটে উত্তপ্ত রাজ্য। ইতিমধ্যেই একাধিক বুথ থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছাড়াও এবার অশান্তিতে নাম জড়াল খোদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর, যাদের হাতে বুথের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব৷ পঞ্চম দফার ভোটে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ধনেখালিতে বাহিনীকে প্রভাবিত করে ছাপ্পা ভোট করানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোনের বিরুদ্ধে৷ তাঁর দোসর রাজ্য পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: হুগলির জেলাশাসকের দপ্তরে ধরনায় লকেট, শতাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি]

কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও আবার ভেঙে ফেলা হয়েছে ইভিএম, ভাঙচুর করা হয়েছে একাধিক গাড়িতে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় ভোটগ্রহণ। এসবের মাঝেই রাজ্যের মন্ত্রী অসীমা পাত্রের বোন আল্পনা পাত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, এদিন সকালে অশান্তির খবর পেয়ে ধনেখালি খানার অন্তর্গত ১৫৯ নম্বর বুথে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, কার্যত জনমানবহীন ছিল ওই বুথ। সেখানে একটি ঘরে জমিয়ে আহার করছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার। সেখানেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। খাদ্যতালিকায় ছিল মদও। তাঁর অভিযোগ, ভোট লুঠে সুবিধা করতে মন্ত্রীর বোন আল্পনা পাত্রের নির্দেশে আগেভাগেই বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই কারণেই এদিন সকালে থেকে বাহিনীকে আড়ালে রেখেই ছাপ্পা ভোট দেয় তৃণমূলের কর্মীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  বিষ্ণুপুরে খুন সিপিএম কর্মী, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পরই সৎকারের সিদ্ধান্ত পরিবারের]

কার্যত একই ছবি দেখা যায় শ্রীরামপুরে। বুথের ভিতরে মদ্যপ অবস্থায় দাপাদাপি করতে দেখা যায় বাহিনীকে। অভিযোগ, শ্রীরামপুর নিউ প্রাইমারি স্কুলের বুথে ভোট চলাকালীন বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রভাবিত করছিলেন জওয়ানরা। তাতে বাধা দিতে গেলে মদ্যপ জওয়ানরা তৃণমূলের এজেন্টকে মারধর করে। ফের তাঁদের বুথের আশেপাশে দেখলে তাঁদের ‘কুচি কুচি করে কেটে’ ফেলার হমকিও দেন অভিযুক্ত জওয়ানরা। সূত্রের খবর,  ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী নির্মল মাঝি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেলা গড়াতেই উত্তপ্ত বনগাঁ, বোমাবাজি হিংলিতে]

পাশাপাশি, এদিন হাওড়ায় আক্রান্ত হন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিটিকুরি মুক্তরাম স্কুলের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই দাশনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রার্থী। অন্যদিকে,  হাওড়ার পাঁচলার একাধিক বুথে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছেন ভোটারদের। ভোটের সকাল থেকেই এমন অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। নিশ্চিত নিরাপত্তা দিতেই সব বুথে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠে এল একাধিক অভিযোগ। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ