Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল

সরকারি প্রকল্পের ঘর দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস! শোরগোল বর্ধমানে

চাপের মুখে নীল-সাদা দেওয়ালে সরকারি প্রকল্প ও উপভোক্তার নাম লিখে দিল স্থানীয় পঞ্চায়েত। 

TMC captures home, granted under PMYJ in Burdwan
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 18, 2019 9:11 am
  • Updated:July 18, 2019 9:12 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার আর স্রেফ কাটমানি নয়,  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি আস্ত একটি বাড়ি হাতিয়ে নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পার্টি অফিস! ঘটনাটি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে বাড়ি নীল-সাদা দেওয়ালে সরকারি প্রকল্প ও উপভোক্তার নাম লিখে দিল স্থানীয় পঞ্চায়েত। তবে  তালাবন্ধ থাকায় এখনও  বাড়িটি মালিকানা পাননি সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা। আগামী শুক্রবার বাড়িটি হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের  কাঠুরিয়াপাড়া গ্রাম।

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত অফিসে কাটমানি পোস্টার উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, হৃদরোগে আক্রান্ত অভিযুক্ত নেতা]

জানা গিয়েছে,  ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি কার্যালয়ের উদ্বোধন হয় জামালপুরের কাঠুরিয়াপাড়ায়। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের খেয়াল করেন,  তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে রাতারাতি খুলে ফেলা হয় দলের পতাকা। কিন্তু, কেন এমনটা হল? প্রথমে তা বুঝতে পারছিলেন না কেউই। ধীরে ধীরে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। বুধবার শাসকদলের ওই পার্টি অফিসে দলের পতাকা লাগিয়ে দেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, গ্রামে বাঁধের ধারে অস্থায়ী ছাউনিতে থাকেন শংকর মাঝিকে নামে এক ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন তিনি। সেই ঘরটি কার্যত দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিজেপির স্থানীয় নেতারা সাফ জানিয়ে দেন,  ঘরটি উপভোক্তাকে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত দলের পতাকা খোলা হবে না। পঞ্চায়েত অফিসের সামনেও চলে বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দেওয়ার সরকারি প্রকল্প ও উপভোক্তার নাম লিখে দেয় পঞ্চায়েত।

Advertisement

এদিকে সরকারি প্রকল্পে যিনি ওই ঘরটি পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছে বিজেপি, সেই শংকর মাঝির বক্তব্য, ‘জানতেই পারিনি আমার নামে সরকারি প্রকল্পে ঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকদিন আগে ওই নীলসাদা ঘরের সামনে আমাকে দাঁড় করিয়ে তিনবার ছবি তোলা হয়েছিল। তৃণমূলের নেতারা বলেছিল, ঘর করার জন্য টাকা এসেছে। পরে আমাকে একটা সার্টিফিকেটও দেয়। কিন্তু ঘর পাইনি। এখন জানতে পারছি আমার নামের ঘরটা তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়েছে।” যদিও তার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা ওরফে বুটে ওই ঘরে তালা দিয়ে পালায় বলে জানা গিয়েছে। ফলে শঙ্কর মাঝি আর তাঁর ঘরে ঢুকতে পারেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অভিনব উদ্যোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চারাগাছ বিতরণের সিদ্ধান্ত বনদপ্তরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ