Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিদিকে বলো

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও গোষ্ঠীকোন্দল, দ্বন্দ্বে জড়ালেন আরাবুল-রেজ্জাক

কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সামনেই হাতাহাতিতে জড়ল শাসকদলের সমর্থকরা৷

TMC infighting during 'DidiK Bolo' campaign at Bhangar
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 2, 2019 2:52 pm
  • Updated:August 2, 2019 3:57 pm

দেবব্রত মণ্ডল ও বিক্রম রায়: আবারও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ালেন ভাঙরের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা এবং এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম৷ সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার সেই কর্মসূচিতেই একে অপরকে নিশানা করলেন তাঁরা৷ সারলেন একই দলীয় কর্মসূচির আলাদা প্রচারও৷

[ আরও পড়ুন: ধসের পর মেরামতির কাজ শুরু জাতীয় সড়কে, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ডায়মন্ড হারবার]

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার৷ জানা গিয়েছে, ওই দিন ভাঙরের সোনপুর বাজারে অনুগামীদের নিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার করেন এলাকার বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা৷ এবং আলাদা ভাবে ভাঙরের ২ নম্বর ব্লকের পাকাপোল বাজারে প্রচার করেন আরাবুল ইসলাম৷ সাধারণ মানুষের হাতে এই ‘দিদিকে বলো’র নম্বর ও ওয়েবসাইট সম্বলিত কার্ড তুলে দেন তাঁরা৷ এই প্রচারপর্বের পরই সংবাদমাধ্যমের সামনে কর্মসূচিতে আরাবুলের অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন রেজ্জাক মোল্লা৷ জানান, আরাবুলের অনুপস্থিতিতেই ‘দিদিকে বলো’র প্রচারের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে৷ যেখানে নাম রয়েছে কাইজার আহমেদ, অহিদুল, নান্নু-র মতো স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের৷ কিন্তু এই কমিটিকেই পাত্তা দেননি আরাবুল ইসলাম৷ উলটে ভাঙরের বিধায়ককে আক্রমণ শানান তিনি৷ বলেন, ‘‘আমি জেলা সভাপতির কথা শুনে কাজ করছি৷ এমন কোনও কমিটির কথা আমি জানি না৷ মিথ্যা প্রচার চলছে৷’’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ক্লাসে নিয়মভঙ্গ, সবক শেখাতে শিক্ষিকার মারে মৃত্যু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের ]

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারেও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এবার উঠল কাটমানি বিতর্ক৷ এবং যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার নাটাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের চিলাখানায় এই কর্মসূচির সূচনা করেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ কার্ড বিলির পর সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে যান তিনি৷ এবং তখনই মন্ত্রীর সামনে অশান্তিতে জড়িয়ে পরে তৃণমূলের দুই সমর্থক৷ সম্পর্কে আত্মীয় এন্দাদুল হক, মহিরুদ্দিন মিঞা অভিযোগ করেন, বছর ছয়-সাত আগে প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরির জন্য এক ব্যক্তিকে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু চাকরি পাননি৷ এমনকী, সেই টাকাও পাননি৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরেন এই দুই আত্মীয়৷ কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেন অন্যান্যরা৷ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷ তিনি জানান, অভিযোগকারীরা কেউ তৃণমূলের সদস্য নয়৷ এবং বিষয়টি বাম আমলে ঘটেছে৷ যদিও নিজেদের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ