Advertisement
Advertisement

Breaking News

ছাত্র

ক্লাসে নিয়মভঙ্গ, সবক শেখাতে শিক্ষিকার মারে মৃত্যু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের

অভিযোগ অস্বীকার বাঁকুড়ার ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের৷

A student of class three beaten to death at Bankura

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 2, 2019 9:01 am
  • Updated:August 2, 2019 9:01 am

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: লড়াই শেষ। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু হল বাঁকুড়ার পুয়াবাগান শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রূপম পালের। ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রের এহেন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাঁকুড়ায়। অভিযোগ, একরত্তি ওই ছাত্রকে স্কুলে বেদম মারধর করায় তার লিভার ফেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় গত বুধবার। সেই দিন থেকেই ওই একরত্তি ছাত্রের চিকিৎসা চলছিল বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে বৃহস্পতিবার মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরেই গেল সে৷

[আরও পড়ুন: চিকিৎসকের গাফিলতিতে কাটা গেল শিশুর আঙুল! সামান্য কেটেছে, সাফাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের]

যদিও এসব অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার পতি। তিনি বলেন, “ছাত্রটি অসুস্থ হতেই আমরা হাসপাতালে ভরতি করি।” এদিকে মৃত ওই ছাত্রের বাবা চক্রধর পাল জানিয়েছেন, ‘‘আমি ছেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে শুনেছি কবাডি খেলা শেষ করার পর আমার ছেলে টেবিলে মাথা রেখে জিরোচ্ছিল। সেই সময় বিজ্ঞানের দিদিমণি ক্লাসে ঢোকেন। ও উঠে না দাঁড়ানোয় শিক্ষিকা ওর মাথা টেবিলে ঠুকে দেন। তারপর থেকেই আমার ছেলে রক্তবমি করতে শুরু করে। স্কুল থেকেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু ছেলের অবস্থা খারাপ জেনেও বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা আমার গাড়ির চালককে সেকথা জানানো হয়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কণ্ঠে বসতে সরস্বতী, রানাঘাট স্টেশনের ‘সুরসম্রাজ্ঞী’র গানে মুগ্ধ নেটদুনিয়া]

জানা গিয়েছে, স্কুলের মাঠ থেকে কবাডি খেলা শেষ করে ক্লাস রুমে ফেরার পর বেঞ্চে বসেই মাথা নিচু করে টেবিলে জিরোচ্ছিল তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। সেই সময় তার অজান্তেই ক্লাসে ঢুকে গিয়েছিলেন দিদিমণি। তাই অন্যান্যদের মতো সে দিদিমণি ক্লাসে ঢুকে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। আর সেই অপরাধেই ওই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মাথা জোর করে টেবিলে ঠুকে দেন শিক্ষিকা বলে অভিযোগ। শিক্ষিকার এহেন নির্মম অত্যাচারে গুরুতর আহত ওই ছাত্রকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি হতে হয় বলে অভিযোগ। তখন থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল বাঁকুড়ার পুয়াবাগান শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া। ওন্দার রতনপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী চক্রধর পালের ছোট ছেলে রূপম। নার্সারি থেকে সে এই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়েরই ছাত্র। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই পাল পরিবারের তরফে বাঁকুড়া সদর থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব আমরা।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ