Advertisement
Advertisement
TMC leader Anubrata Mandal

রামপুরহাটের পর সাঁইথিয়া, দলের আগেই ফের প্রার্থীর নাম ঘোষণা অনুব্রতর

'সকলকে দলের অনুশাসন মেনে চলতে হবে', বার্তা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির।

TMC leader Anubrata Mandal announces candidates name ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 15, 2020 11:20 am
  • Updated:August 7, 2021 12:11 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দলীয়ভাবে নাম ঘোষণার আগেই বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। মঙ্গলবার সাঁইথিয়া বিধানসভা এলাকার তিনটি অঞ্চলের বুথ কর্মীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই সাঁইথিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে বর্তমান বিধায়ক নীলাবতী সাহার নাম কর্মীদের জানিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রামপুরহাট বিধানসভায় কর্মীদের সামনে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Asish Banerjee) নাম সরাসরি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। দলীয়ভাবে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার আগেই এভাবে পরপর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এ প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, “নীলাবতী রানিং বিধায়ক। ভাল মেয়ে। এলাকায় উন্নয়ন করেছে। কর্মীরা চাইছে। আমি বলার কে? চূড়ান্তভাবে নাম ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আমি দিদির প্রার্থীর কথা বলেছি।” মঙ্গলবার ফুলুর, হরিসরা, দেরিয়াপুর অঞ্চল নিয়ে বুথ কমিটির সভা ছিল। তিনটি এলাকাতেই লোকসভা ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। বিশেষ করে আদিবাসী এলাকায় বিপুল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। অনুব্রত মণ্ডল তাই সেই সব এলাকার কর্মীদের কাছে জানতে চান, রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়নের যে প্রকল্প রয়েছে, তা কি ওইসব মানুষের কাছে পৌঁছয়নি? তাদের কেন বোঝানো যায়নি? তাহলে পরাজয় কেন? তবে এদিন বেশ কিছু সভাপতি তাদের এলাকার সমস্যার কথা অনুব্রতবাবুকে বলতে গেলে তাদের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেন দলীয় কর্মীরা। দেরিয়াপুর এলাকার কাঞ্চন নগরের বুথ সভাপতিকে এভাবেই রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়। ফুলুর অঞ্চলের হিরিপলশার ৬১ নম্বর বুথের শেখ জাকিরের কথা শুনতে দেওয়া হয়নি জেলা সভাপতিকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর দোরগোড়ায় চোখ রাঙাচ্ছে রাজ্যের করোনা গ্রাফ, আক্রান্ত পেরল ৩ লক্ষ]

কর্মীদের প্রশ্নোত্তরের মাঝে অনুব্রত বলেন, “ভোটটা তো দিদির ভোট। নীলাবতী সাহাকে (Nilabati Saha) তো দিদি বোধহয় প্রার্থী করবে। নীলাবতী ফের ভোটে দাঁড়াবে বোধহয়। ভোটে দাঁড়ালে নীলাবতীকে ভোট দেবেন তো? ওর হয়ে ভোট করবেন তো? তাঁর এই ঘোষণার পরই দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিন সাঁইথিয়ায় কর্মীদের ফের অনুব্রত মনে করিয়ে দেন, “হেরে গেলে পদ থেকে সরিয়ে দেব। দলই শেষ কথা। দলের উপরে কেউ নয়। সকলকেই অনুশাসন মেনে চলতে হবে।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুরোহিত ভাতাতেও দুর্নীতি! প্রাপকদের তালিকায় নাম অব্রাহ্মণদের, ক্ষোভ তেহট্টে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ