নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবি সামাল দিতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের নেতারা কর্মসূচির প্রচারে নেমেও পড়েছেন। কিন্তু দলের অন্দরেই যে হাজারও প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচি ঘিরে! সেটাই প্রকাশ্যে এল শুক্রবার। আদৌ মুশকিল আসানের জন্য ফোনের ওপারে পাওয়া কি যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে? দলীয় বৈঠকে এমন প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেললেন খোদ অঞ্চল সভাপতি।
লোকসভা ভোটে আশানুরূপ ফল হয়নি। তাই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে শাসকশিবির। এখন সমস্যা হলেই মুখ্যমন্ত্রী স্রেফ ফোনের ওপারে। সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকড় রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। আর তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দিদিকে বলো’ পরিষেবাকে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে স্বভাবতই দলের নেতা-কর্মীরা নেমে পড়েছেন ময়দানে।
শুক্রবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে বনগাঁর কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব সর্দারের বাড়িতে যান বাগদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য পরিতোষ সাহা। রাতে সেখানে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে আদৌ কতটা সহযোগিতা মিলবে, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে বেফাঁস প্রশ্ন করে বসলেন খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শান্তিরাম মণ্ডল। জিজ্ঞেস করলেন, আদৌ দিদিকে অভিযোগ জানানোর নম্বরে ফোন করে পাওয়া যাবে কি? কথা কি বলা যাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে?
দলীয় নেতার এই প্রশ্নে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। ইতিমধ্যেই ‘দিদিকে বলো’-র প্রচারে যোগাযোগের জন্য দেওয়া নম্বরে ফোন করে কোনও সুফল পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। অনেককেই পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানো হবে বলে আশ্বাস দিয়ে ফোন কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কেউ একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারেননি। এসবের মাঝে দলের কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল নেতার এই প্রশ্ন আরও বড় রকমের অস্বস্তিতে ফেলল দলীয় নেতৃত্বকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.