নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সাঁইথিয়া ব্লকের ভ্রমরকোল পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তালিকা দিয়ে মুচলেকা লিখে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিলেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের আমোদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আরটিআইয়ের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে টাঙিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। ফলে কাটমানি ফেরতের হিড়িকে নতুন সংযোজন হল আমোদপুর এলাকা।
বুধবার ভ্রমরকোল পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের তৃণমূলের সদস্য মদন দেবাংশীকে নিয়ে সালিশি সভা বসে। গ্রামের ধর্মরাজ মন্দিরে তাকে আটক করে রাখা হয়। গ্রামবাসীরা গত কয়েকদিনে ঘুরে ঘুরে কোন প্রকল্পে কত টাকা নিয়েছে তার তালিকা তৈরি করেন। সদস্যকে সভায় ডেকে তা শোনানো হয়। গ্রামবাসীদের চাপের মুখে সদস্য মদন দেবাংশী টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। তালিকার নিচে তিনি সই করে ফেরতের জন্য ৪৫ দিন সময় চান। আগামী মঙ্গলবার থেকে সেই কাটমানির টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন।
[আরও পড়ুন: কাটমানি ফেরত চেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও, উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ]
অন্যদিকে, এদিনই পাশের পঞ্চায়েত আমোদপুরের পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তবে তারা বিক্ষোভের পাশাপাশি আইনের পথও নিয়েছে। কৌশিক প্রামাণিক আরটিআই করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হিসাব চান। তাঁর দাবি একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা, নির্মল বাংলা-সহ সব কাজই অসম্পূর্ণ। অথচ সেই সব কাজের টাকা উঠে গিয়েছে। আমরা সরকারিভাবে তার হিসাব চাই। আমোদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শুভাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, ‘১৭, ১২ সহ তিন সংসদের তিনজন তিনটি আরটিআই করেছে। আমরা তার যথাযথ উত্তর দেব। যেগুলি ব্লক প্রশাসনের তারা তার উত্তর দেবে।’ তাঁর দাবি, ‘আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে পঞ্চায়েত পরিচালনা করি। কোনও অসঙ্গতি থাকলে তার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’