শংকরকুমার রায়, ইসলামপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (West Bengal Panchayat Election 2023) দামামা বাজতেই নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল (TMC)! উত্তর দিনাজপুরে প্রকাশ্যে আবদুল করিম চৌধুরী বনাম কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দ্বন্দ্ব। জেলার ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই নিজের প্রার্থী দেবেন করিম চৌধুরী। সেই নামের তালিকা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠাচ্ছেন। অনুমোদন না মিললে প্রত্যেককে নির্দল হিসেবে দাঁড় করাবেন, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ইসলামপুরের বিধায়ক। একইসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি। পালটা জেলা সভাপতির দাবি, “প্রার্থী ঠিক করবে দলই। উনি তালিকা পাঠাতেই পারেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সকলকেই মানতে হবে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নির্ধারণে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও শনিবার গোঁজপ্রার্থীর হুঁশিয়ারি দিলেন দলীয় বিধায়ক। আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, “১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব আসনে আমার অনুগামীরা প্রার্থী হবে। সেই তালিকা রাজ্যের সুপ্রিমোর কাছে পাঠাচ্ছি। উনি অভিষেককে পাঠাবেন কি বা ওঁর ব্যাপার। অনুমোদন না মিললে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাব।” এরপর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। করিম চৌধুরীর কথায়, “এলাকায় সন্ত্রাস হচ্ছে। বাঘকে তো এখন হত্যা করা যায় না। তাই তাঁকে খাঁচায় রাখতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘উলটো স্রোতে গা ভাসাবেন না’, নাম না করে দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতিকে ‘ধমক’ শতাব্দীর]
বিধায়ককে পালটা দিয়েছেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তাঁর কথায়, “প্রার্থী আমি ঠিক করব না, দল করবে উনি তালিকা পাঠাতেই পারেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সকলকেই মানতে হবে।” জাকির হোসেন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “একথা তিনি আগেও বলেছেন। এটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্য়াপার। এতে আমি ঢুকতে চাই না।” করিম চৌধুরী ও কানাইয়ালালের দ্বন্দ্ব নতুন বিষয় নয়। নবজোয়ার কর্মসূতিচে উত্তর দিনাজপুরে গিয়ে অশান্তি মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন খোদ বিধায়ক। অভিষেকের সতর্কবার্তার পরও করিম চৌধুরীর এহেন মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।