৫ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘উলটো স্রোতে গা ভাসাবেন না’, নাম না করে দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতিকে ‘ধমক’ শতাব্দীর

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: June 10, 2023 5:53 pm|    Updated: June 10, 2023 7:09 pm

'Don't try to go opposite current', Birbhum TMC MP Satabdi Roy's strong messege to the block president | Sangbad Pratidin

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: একের পর এক বৈঠকে গরহাজির অপসারিত ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র। তাই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বীরভূমের দুবরাজপুরের কর্মীসভায় ভোলা মিত্র ও তাঁর অনুগামীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্য সম্পাদক শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। কর্মীসভায় বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী থেকে কর্মীদের শুধু সতর্ক করাই নয়, তাঁদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিলেন সাংসদ। যদিও শতাব্দী রায়ের বার্তা শুনে ভোলা মিত্র দাবি করেন, ”আমি বৈঠকে কর্মীদের মাঝে ছিলাম। অনেকেই দেখতে পায়নি। তাই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।”

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকে পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তৈরি হয় ১৫ জনের নির্বাচনী কোর কমিটি (Election Core Committee)। পদ খোয়ানোর পরে ভোলাবাবু দাবি করেছিলেন, যাঁরা কমিটিতে আছেন, তাঁরা সকলে আসলে তাঁরই অনুগামী। এমনকি পদ থেকে সরিয়ে দিলেও ১৫ জনের কমিটিতে ভোলা মিত্রকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পদ খোয়ানোর পর থেকে দলীয় আর কোনও বৈঠকে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। এমনকী বালিজুড়ি, হেতমপুর, লোবা অঞ্চলে তিনি নিজের অনুগামীদের নিয়ে উপদল করছেন বলেও অভিযোগ এসেছে তৃণমূলের কাছে। শনিবার দুবরাজপুরের রবীন্দ্রসদনে কর্মীসভায় তাই চাঁচাছোলা ভাষায় নাম না করে একদিকে ভোলাবাবু একইসঙ্গে তাঁর সঙ্গে থাকা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করা কর্মীদের সতর্ক করলেন শতাব্দী রায়।

[আরও পড়ুন: একতরফা প্রেম, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে কুপিয়ে ‘খুন’ ব্যক্তির]

শনিবার দুবরাজপুরের (Dubrajpur) সভায় তিনি বলেন, ‘‘কোর কমিটির ১৫ জন একসঙ্গে আছে। মানে তারা অনেক বেশি শক্তিশালী। এর মধ্যে দু’একজন যদি মনে করেন, দলের কিছু লোককে নিয়ে গোষ্ঠী করবেন, বা উপদল তৈরি করবেন, তাহলে কিন্তু কোনও লাভ নেই। কারণ, আমার সমর্থন এই কোর কমিটির সঙ্গে আছে। তাই যদি চালাক হন, বুদ্ধিমান হন, তাহলে স্রোতের সঙ্গে চলুন। উলটো স্রোতে গা ভাসাবেন না। একা হয়ে কিছু করা যাবে না। রাজনীতি একটা এমন জিনিস এখানে একা কিছু করা যায় না।’’

[আরও পড়ুন: ‘মাথা কেটে ফুটবল খেলব’, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কাকদ্বীপে বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি ঘিরে চাঞ্চল্য]

ভোলা মিত্রের বিরুদ্ধে তাঁরই মাটিতে দাঁড়িয়ে শতাব্দী রায়ের এভাবে কড়া বার্তা দেওয়ায় হতচকিত ভোলা অনুগামীরা। বিশেষ করে পদ হারানোর পরে তাঁর অনুগামীরা একটু দূরত্ব রেখেই চলছিলেন। অন্যদিকে, ভোলাবাবুর জন্য দলে যাঁরা প্রাধান্য হারিয়েছিলেন তারা তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন দলীয় কাজে। তাই পরের পর বৈঠকে অনুপস্থিত ভোলাবাবু। এ প্রসঙ্গে দলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় সরাসরি ভোলা মিত্রকে উল্লেখ করেই বলেন, ‘‘এগিয়ে চলতে হয়, নাহলে পিছিয়ে পড়তে হয়। একটা মানুষ তো চিরদিন একই পদে থাকতে পারেন না। দীর্ঘদিন তিনি দলে থেকেছেন। উনি কোর কমিটির সদস্য আছেন। উচিত ছিল তাঁর সব বৈঠকে হাজির থাকা।’’ তবে ভোলা মিত্র বলেন, ‘‘আমি হেতমপুরে বৈঠক জেনে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে হবে না জেনে ফিরতে ফিরতে দেরি হয়ে যায়। তাই লোকে দেখতে পায়নি।’’ তবে শতাব্দীর কড়া দাওয়াই ও ভোলা মিত্রের নীরবতার ফল কী হবে, তা বোঝা যাবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেই।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে