বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল আগেই। জেলেও খেটেছেন। ফের সেই বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম জড়াল বেআইনি আর্থিক লেনদেনে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছেন বিধায়ক। এরই মধ্যে বালিঘাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক যুবকের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে। বড়ঞার বেলগ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সালাউদ্দিন দাবি, ২০২২ সালে নদীর ঘাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক।
অভিযোগকারীর কথায়, “২০২২ সালে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ময়ূরাক্ষী নদীর একটি বালিঘাটে আমাকে ব্যবসা করার জন্য সবকিছু ব্যবস্থা করে দেবেন বলে তার বিনিময়ে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ওই ঘাট আমাকে পাইয়ে দেওয়া হয়নি। আমি যখনই টাকা চাইতে গেছি আমাকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, “শুক্রবার আমি বিধায়ককে বাড়িতে টাকা চাইতে গেছিলাম। আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমি টাকা দিতে পারব না। তার পরে আমি পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।” শনিবার বড়ঞার এক যুবক পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন টাকা ফেরতের আশায়। লিখিত অভিযোগও জমা করেছেন বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ।
বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকায় আমাকে ছোট করার জন্য এটা করা হচ্ছে। বালি পাচার দুর্নীতিতে আমি সরব হয়েছি তা বন্ধ করার জন্য এই অভিযোগ। যে যুবক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই। কোনও যোগাযোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করুক। সবকিছুই প্রকাশ্যে আসবে।” তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.