দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে খেতের ফসল প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেসব হতভাগ্য কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আজ তাঁদের ফসলের খোঁজখবর নিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। জলভরতি মাঠে নেমে ধানও কাটলেন তাঁদের সঙ্গে। বিধায়কের এই কাণ্ড দেখে হতবাক চাষিরাও। এভাবেই বুলবুল বিধ্বস্ত সুন্দরবন লাগোয়া অঞ্চলে নতুন উদ্যমে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে শামিল হলেন বিধায়ক। কৃষকদের কাজে সাহায্য করতে পেরে তিনি নিজে বেশ খুশি।
‘দিদিকে বলো’ অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বয়ার সিং ও শিবনগর গ্রামে যান। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেব রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মিটিং ও মিছিল করেন। মিছিল করে যাওয়ার সময় মাঠে দেখেন বেশ কয়েকজন চাষি জলের মধ্যে নেমে আমন ধান কাটছেন। সেই চাষিদের কাছে যান বিধায়ক। সরাসরি জলভরা মাঠে নেমে জানতে চান, ধানের পরিস্থিতি কেমন? বুলবুলের পর ধান কাটতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তাও জানতে চান বিধায়ক। তারপর নিজেই কোমরে গামছা বেঁধে কাস্তে হাতে নেমে পড়েন ধান কাটতে।
দু’সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে বুলবুলে বিধ্বস্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা। ঝড়ের কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমন ধান। মুখ্যমন্ত্রী কাকদ্বীপে বৈঠক করে চাষি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, আমন ধান বাঁচানোর উপায় বের করতে। শুধু তাইই নয়, প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে এই সমস্যা নিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে নতুন করে পরিকল্পনা করার নির্দেশও দেন। এই নতুনভাবে চাষের খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
সেইমতো, এদিন ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে এলাকায় আমন ধানের বাগানে চলে যান বিধায়ক। শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের সমস্যা শুনতেই মাঠে নেমেছি। ধানই শুধু নয়, শীতের সবজি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা আছে স্থানীয় চাষিদের। তাই যদি তাঁদের ফসল সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে তা স্থানীয় বিডিও এবং কৃষি দপ্তরকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.