সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে পালটা সভা করছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকলেও, থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দলের শীর্ষনেতারা। থাকছে চমকও। এদিন দলে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সভায় দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন।
[রাতের অন্ধকারে খুন বিজেপি নেতা, উত্তপ্ত মন্দিরবাজার]
মেদিনীপুরে মোদির সভার পালটা সভার কথা একুশের মঞ্চ থেকে নিজের মুখেই ঘোষণা করেছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী। জানিয়ে দিয়েছিলেন, সভায় দলের সব শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সেই সঙ্গে সভার দুর্ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচাও দিয়েছিলেন মমতা। মমতার কটাক্ষ ছিল,’প্যান্ডেল সামলাতে পারে না, দেশ চালাবে কী করে।’ সেই একই স্থানে আজ তৃণমূলের সভা। সেদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে লাঞ্চনা বেড়েছিল গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ-ব্রিগেডের। সেদিনের সভায় প্যান্ডেল ভেঙে যাওয়া নিয়ে বিরোধী শিবির থেকে তো বটেই খোদ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও গঞ্জনা শুনতে হয়েছে । আজ তৃণমূলের সভাতে সেই লাঞ্চনা আরও বাড়তে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, আজ তৃণমূলের সভায় যোগ দেবেন সেদিনের সভায় দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একাধিক পরিবারের সদস্যরা। আহতদের পরিবারের লোকেরা বলছেন, সভার দুর্ঘটনার পর বিজেপি নেতারা পাশে দাঁড়াননি, বরং রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের পালটা সভার মূল ইউএসপি এটাই হতে চলেছে। এর আগে যে কারণে একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতাদের গঞ্জনার মুখে পড়তে হয়েছে বঙ্গ বিজেপিকে এদিনের সভাতেও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।
[অভুক্তদের অন্ন জুগিয়ে নজির, এবার নাবালিকার দৃষ্টি ফেরাতে উদ্যোগী রুটি ব্যাংক]
মেদিনীপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত না থাকলেও থাকছেন দলের শীর্ষ নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন তৃণমূল নেতারা। সভার জমায়েতের দিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির সভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা দাবি করেছিলেন। তৃণমূলের দাবি, মোদির সভার চেয়ে অনেক বেশি জমায়েত হবে তাদের সভায়।প্যান্ডেল নিয়েও অবশ্য সতর্ক তৃণমূল, বিজেপির সভা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিনের সভায় কোনও ছাউনিই রাখছে না শাসকদল।