নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাসন্তীর পর বীরভূম। রাজ্যে ফের বোমাবাজি। এবার প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেসের দিকে। বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রামে উত্তেজনা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার তিনজন।
শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত দশটা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রাম। মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ, তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ, সুজাউদ্দিন নামে তিন তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলেই অভিযোগ। বোমাবাজির পর রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে যান তাঁরা। সেই সময় তাঁদের লোহার শাবল-সহ নানা ধরনের ভারী বস্তু দিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মাড়গ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। পথেই মৃত্যু হয় নিউটন শেখের। জখম লাল্টু শেখকে প্রথমে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর অবস্থাও বেশ আশঙ্কাজনক বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহতের পরিবারের দাবি, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী স্রেফ রাজনৈতিক বিবাদে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। তাতেই মৃত্যু হয় সুজাউদ্দিনের। এই ঘটনায় শুরু জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ বাড়ছে।” যদিও তৃণমূলের তরফে দিলীপ ঘোষের দাবির তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীরা রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.