Advertisement
Advertisement
তৃণমূল

‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে দলের নেতার বিরুদ্ধেই নালিশ, প্রহৃত দুর্গাপুরের তৃণমূল কর্মী

থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ফের মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীকে৷

TMC worker beaten up by the leaders for complaining against them

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 4, 2019 6:43 pm
  • Updated:August 4, 2019 6:43 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলেরই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বেদম প্রহারের মুখে দলেরই এক পুরনো কর্মী। প্রহৃত ব্যক্তি তৃণমূলের দীর্ঘদিনের কর্মী দুর্গাপুরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লেবারহাটের বাসিন্দা টোটন দাস।

[আরও পড়ুন:পরিবারের অমতে বিয়ে, জামাইকে পিটিয়ে মারল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা!]

শুক্রবার সিটি সেন্টারে দলের জেলা অফিসে তৃণমূলের ২ ও ৩ নম্বর ব্লকে ‘দিদিকে বলো’ অনুষ্ঠানের পর দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা অফিসের সামনেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে টোটন দাস। কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল ও তাঁর অনুগামী চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ আনতেই শুরু বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। চন্দ্রশেখর তাঁকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। পরে তৃণমূলের নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে বিবাদ তখনকার মতো মিটে যায়৷ তারপর থেকেই টোটন ও তাঁর পরিবারকে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে বিশ্বনাথ ও চন্দ্রশেখরের অনুগামীরা, এমনটাই টোটনের অভিযোগ।

Advertisement

ওইদিন দলের দুই নেতা চন্দ্রশেখর এবং বিশ্বনাথ পারিয়ালের বিরুদ্ধে ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরে অভিযোগ করেন টোটন। তাঁকে বলা হয়, স্থানীয় থানায় অভিযোগ করুন৷ তাঁর ফোনেও এই পরামর্শ দিয়ে এসএমএস আসে বলে দাবি করেছেন টোটন দাস। সেই নির্দেশমতো শনিবার সন্ধ্যায় কোকওভেন থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ টোটনের অভিযোগ, থানা থেকে ফিরতেই তাঁর উপর চড়াও হয় বিশ্বনাথ ও চন্দ্রশেখরের অনুগামী বলে পরিচিত ডিপিএলের দুই তৃণমূল কর্মী খুরশিদ আনসারি ও নয়ন মালাকার। চলে বেদম প্রহার৷ মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মার খেয়ে ফের থানায় যান টোটন। পুলিশে ফের অভিযোগ করেন এই দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement

dgp-tmc

ওই অবস্থাতেই টোটন দাস অভিযোগ করেন, ‘‘দলীয় নেত্রীর কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’তে দেওয়া নম্বরে ফোন করে দলের নেতাদের দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলাম। অভিযোগ করলে আমি আক্রান্ত হতে পারি, এই আশঙ্কা প্রকাশ করায় আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। থানায় অভিযোগ করে ফেরার পথেই আমাকে মারধর করে ওঁদের দুই অনুগামী৷’’ তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূলের এই দুই নেতা চন্দ্রশেখর এবং বিশ্বনাথের জন্য দলে দুর্নাম হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: নেতাজির মূর্তি ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপাড়ায়, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা]

এই ঘটনা সম্পর্কে ৪ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য,  ‘‘আমার কোনও অনুগামী নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই কোনও কোনও মহল থেকে এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।’’

ছবি: উদয়ন গুহরায়৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ