Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিহতের স্ত্রী

বিয়ের পর সংসার করা হল না জেমুন্নাসার, স্বামী কায়ুম মোল্লার মৃত্যুতে স্তব্ধ স্ত্রী

স্বামীর ঘর করতে না পারা বাচ্চা মেয়েটি যেন কান্নার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে!

TMC worker died in Sandekkhali married four months ago
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 10, 2019 9:19 am
  • Updated:June 10, 2019 9:19 am

নবেন্দু ঘোষ, সন্দেশখালি: মাত্র মাস চারেক আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে এখনও স্বামীর ঘর করা হয়নি জেমুন্নাসার। করা হলও না৷ স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রথম শ্বশুরবাড়িতে পা দিলেন বছর চব্বিশের এই যুবতী। সন্দেশখালিতে মৃত তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার স্ত্রী।

                                           [আরও পড়ুন : ‘আগে মনকে গেরুয়া করতে হবে’, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান আটকে দিলেন বাবুল]

ন্যাজাটের ভাঙ্গিপাড়ায় যখন বিজেপি কর্মীদের মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের তোড়জোড় করছিলেন বিজেপি নেতারা, সেই একই সময় রাজবাড়ি এলাকায় তৃণমূল কর্মী কায়ুমের বাড়িতে নিস্তব্ধতা। স্বামীর ঘর করতে না পারা বাচ্চা মেয়েটি তখন যেন কান্নার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে কথা বলার ভাষা খুঁজছিলেন। কিন্তু একটি শব্দও মুখ দিয়ে যেন বেরোচ্ছিল না তাঁর। ভেড়িতে কাজ করা কায়ুম এলাকায় পুরনো তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার বিকেলে তিনি ভাঙ্গিপাড়ায় দলের মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। ওই গ্রামে তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি কর্মীরা। তাই সেখানে পতাকা লাগাতে গিয়েছিলেন কায়ুম। দলীয় পতাকা বাঁধার সময় ভাঙ্গিপাড়ার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তারপরই তাঁকে গুলি
করে খুন করার ঘটনায় নাম উঠে আসে বিজেপির প্রদীপ মণ্ডল ও তার সঙ্গীদের। আরও অভিযোগ, শুধু গুলি করেই থামেনি তারা। নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে কায়ুমকে। কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরের ছেলেকে।
এলাকাবাসীর দাবি, এতদিন শান্তি ছিল এলাকায়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে গেরুয়া শক্তির উত্থানের ফলে দখলের রাজনীতি শুরু করেছে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তারই ফলস্বরূপ বুলেটে ঝাঁজরা হতে হয়েছে তরতাজা কায়ুম মোল্লাকে। রবিবার তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পরিবারের পাশে
থাকার আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, “গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে। কায়ুমের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।”

Advertisement

     [আরও পড়ুন : শ্যামপুরের বেহাল কাঠের সেতু নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া]

আরেক মন্ত্রী তাপস রায় দাবি করেন, “বিজেপি এদিন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। কায়ুমের মৃত্যুর পর থেকে তৃণমূলের আরও ছ’জন কর্মী নিখোঁজ৷ তৃণমূল
সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। কিন্তু বিজেপি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই এ ধরনের কাজ করছে।” এসবের মাঝে কায়ুমের নবপরিণীতা স্ত্রী জেমুন্নাসার কথা ভাবার বিশেষ কেউ নেই৷ তাঁর জীবন কিন্তু আপাতত তিমিরে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ