BREAKING NEWS

৭ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মেলার ভিড়েই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা, কাঠগড়ায় বিজেপি

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: October 15, 2019 12:46 pm|    Updated: October 15, 2019 12:46 pm

TMC worker shot at crowded place in Nadia, BJP worker accussed

ফাইল ছবি

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: মেলার ভিড়ের মধ্যেই এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টা দুষ্কৃতীর। বুকে গুলি লেগে গুরুতর জখম ওই যুবক ভরতি কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। জখম যুবক তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তাঁর উপর এমন হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিজেপি কর্মী। প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ফের নাগরিকপঞ্জির আতঙ্ক, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আলিপুরদুয়ারে মৃত্যু প্রৌঢ়ের]

সোমবার রাতে নদিয়ার হাঁসখালি থানার জয়পুর গ্রামের মেলায় গিয়েছিলেন বছর কুড়ির দিবাকর সরকার। মেলাতেই এলাকার আরেক যুবক সুবীরের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, এরপরই দিবাকরকে লক্ষ্য করে সুবীর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি তাঁর বুকে লাগে, আরেকটি গুলি হাত ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। মেলার মধ্যে প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। যদিও গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই দিবাকর তাঁর পরিচিত গৌতম মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে বলে, ‘তাড়াতাড়ি এসো। আমাকে গুলি করা হয়েছে।’ গৌতম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা ছুটে গিয়ে দিবাকরকে তড়িঘড়ি বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে দিবাকরকে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই ভরতি রয়েছে দিবাকর। আমাদের এলাকার একটি ক্লাব দখল করতে গিয়েছিল বিজেপির লোকজন।’ তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত সুবীরও একসময়ে তৃণমূলের কর্মী ছিল। পরে দলবদল করে বিজেপি হয়েছে। ক্লাব দখলে বাধা পেয়ে আক্রোশেই সে দিবাকরকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ গৌতমবাবুর। একই অভিযোগ জানিয়েছেন দিবাকরের বাবা দিলীপ সরকারও।

krishnagar-bullet
গুলিতে জখম দিবাকর সরকার

[আরও পড়ুন: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ঝলসে মৃত্যু মালিকের]

এই ঘটনার পর আজ সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। বাড়িতে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও তিন বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও ভাঙচুর চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। গ্রামে অশান্তি এড়াতে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। যদিও তৃণমূল কর্মী দিবাকরকে গুলিচালনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর পালটা দাবি, ‘তৃণমূলের কাউকে গুলি করার নীতি আমাদের দলের মধ্যে নেই। বিজেপির কেউ গুলি করেনি। এটা আসলে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। যদিও আমরা বলব, আইন আইনের পথে চলুক।’ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে