৯ আশ্বিন  ১৪৩০  বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ডাহা ফেল সাগরদিঘি মডেল! বায়রনকে দলে টেনে কী বার্তা দিল তৃণমূল?

Published by: Paramita Paul |    Posted: May 29, 2023 8:57 pm|    Updated: May 29, 2023 9:26 pm

TMC's message by accepting turncoat Bayron Biswas in party ranks | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কং জোটের জয়ের পর থেকেই রাজ্য় রাজনীতিতে চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছিল। সাগরদিঘিকে মডেল করে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু ৩ মাসের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ল সেই মডেল। কংগ্রেস ছেড়ে বায়রন বিশ্বাস যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। কিন্তু কেন এই কংগ্রেস বিধায়ককে দলে নিল তৃণমূল? বায়রন বিশ্বাসকে দলে টেনে কি কোনও বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল ঘাসফুল শিবির?

সাগরদিঘির হার সংখ্যাতত্ত্বের দিক থেকে তৃণমূলকে মোটেও বিচলিত করার মতো ফলাফল ছিল না। তারপরেও এই হার নিয়ে দলের অন্দরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল। রীতিমতো সংখ্যালঘু নেতাদের উপর হারের কারণ পর্যালোচনার ভার দেওয়া হয়। কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা দেখে রাজনৈতিক মহল মনে করছিল, সাগরদিঘির ফলাফল তৃণমূলকে বেশ ভাবিয়েছে। কারণ, মুর্শিদাবাদের এই বিধানসভা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ৬৮ শতাংশ মুসলিম ভোট। আর এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হারের অর্থ হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের উপর থেকে সংখ্যালঘু ভোটারদের আস্থা কমে যাওয়া। যা পঞ্চায়েত বা লোকসভা ভোটের আগে মোটেও শুভ লক্ষ্মণ ছিল না।

[আরও পড়ুন: চুরি করতে এসে আটক যুবক, নিজের খাবারই ক্ষুধার্ত চোরকে খাওয়ালেন গৃহস্থ]

একাধারে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেপ্তারি, এই দুই কারণে সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভরাডুবি হয় বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। বায়রন বিশ্বাসকে দলে টেনে সেই ভাবনাতেই বড় ধাক্কা দিল তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের শাসকদল সংখ্যালঘুদের স্পষ্ট বার্তা দিল যে তাঁদের কাছে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। কারণ, যে দলের টিকিটে বায়রন বিশ্বাসকে জিতিয়েছিল আমজনতা, সেই কংগ্রেস নিজের বিধায়ককে ধরে রাখতে পারল না। তাঁদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দলবদলে সেই কংগ্রেসকেই ‘বিজেপি সখ্যতা’ নিয়ে দুষলেন। এমনকী, উন্নয়নের জন্যও তৃণমূলের উপরই ভরসা রাখলেন সেই বিধায়ক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল বিনা অন্য দলের প্রতিনিধির উপর সংখ্যালঘুরা ভরসা রাখলে যে তা দীর্ঘমেয়াদি হবে না তা এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে ভবিষ্যতে তৃণমূল ছাড়া অন্য দলকে ভোট দেওয়ার আগে তাঁদের ভাবতে হবে।

এদিকে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সর্বভারতীয় আঙ্গিকে তৃণমূল সভানেত্রী নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবে। কিন্তু অধীররঞ্জন চৌধুরীরা যদি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে শক্তিশালী করেন, তাহলে মানুষই তার জবাব দেবে। কারা প্রকৃত বিজেপি বিরোধী, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

[আরও পড়ুন: বিয়ের পাকা কথার দিনই রেললাইনে মাথার খুলি, পাশে ছিন্নভিন্ন দেহ, ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে