Advertisement
Advertisement

Breaking News

অপুষ্টি-আক্রান্ত শিশুদের বাড়িতে সবজি বাগান, মাছের পুকুরের বন্দোবস্ত প্রশাসনের

রাজ্যে নজির গড়তে চলেছে বাঁকুড়া!

To Prevent Malnutrition, Bankura Will Plant Vegetable Farms In Local Families
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 3, 2016 9:37 am
  • Updated:October 3, 2016 9:37 am

স্টাফ রিপোর্টার: অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের ভাল মানের খাবার দিতে এবার একশো দিনের কাজকে হাতিয়ার করছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন৷ ওই প্রকল্পের মাধ্যমেই অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের বাড়িতে সবজি, ফলের বাগান তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷ পাশাপাশি তৈরি করে দেওয়া হবে পুকুরও৷ সেখানে মাছ চাষও করা যাবে৷ প্রশাসনের বক্তব্য, অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য আগেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে মর্নিং স্ন্যাক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ এবার আরও একধাপ এগোল প্রশাসন৷ জেলা প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, উদ্দেশ্য সফল করে গোটা রাজ্যে নজির সৃষ্টি করা যাবে৷ কারণ, রাজ্যের বাঁকুড়াই প্রথম জেলা, যেখানে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷
বাঁকুড়ায় জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জেলায় অপুষ্টি ও অতি অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬৯ জন৷ এর মধ্যে অতি অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭ জন৷ সমস্যার সমাধানে জেলার অপুষ্টি ও অতিপুষ্টিতে আক্রান্ত রোগীর পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷ একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই পরিবারগুলিকে জবকার্ড দেওয়া হবে৷ জেলার উদ্যান পালন দফতর ও মৎস্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই পরিবারগুলিতে ফলের বাগান, মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হবে৷
বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা বসু গোদারা জানিয়েছেন, একশো দিনের প্রকল্পে ওই মানুষগুলি কাজ পাবেন৷ এ ছাড়া বাড়িতেই বিনা সারের সবজি, মাছ ও পেঁপে ও পেয়ারার মতো ফলও পাবেন৷ যদিও দু’বছর আগেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল৷ তখন বাঁকুড়া-১ ও ওন্দা ব্লকে প্রকল্পে সাফল্যও এসেছিল৷ তাই এবার জেলার সব ব্লকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বাঁকুড়ার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দায়িত্বে থাকা আধিকারিক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “অপুষ্টি দূর করতেই আমাদের এই পরিকল্পনা৷ কারণ অপুষ্টি ও অতি অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর জন্মানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে বাঁকুড়া৷ তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷”
তবে প্রশাসনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সমস্যাও রয়েছে৷ জেলাপ্রশাসনের এক কর্তার কথায়, এই সমস্ত মানুষের সিংহভাগেরই কোনও জমি নেই৷ ফলে কীভাবে বাড়িতে বাড়িতে বাগান, পুকুর তৈরি করা হবে, তা নিয়ে এখনও ভাবনাচিন্তা চলছে প্রশাসনিক মহলে৷ জেলা প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বাড়িতেও এই পুষ্টি-বাগান ও পুকুর তৈরি করা যেতে পারে৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ