Advertisement
Advertisement
Domjur

মাধ্যমিকের আগে তারস্বরে লাউডস্পিকার! রেগে মাইক বন্ধ করলেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক

অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হচ্ছে দেখে অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠেননি বিধায়ক।

Tommorow Madhyamik exam, Domjur TMC MLA turned off mic in anger

মাইক বন্ধ করতে নির্দেশ বিধায়কের। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:February 9, 2025 8:17 pm
  • Updated:February 9, 2025 8:17 pm  

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে চলছিল তারস্বরে মাইক বাজানো। সেই মাইক খোলালেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। আয়োজকদের এই বিষয়ে বকাঝকাও করেন তিনি।

সোমবার থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে রবিবার সকালে বালির নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে চলছিল রক্তদান শিবির। আর সেই রক্তদান শিবিরে মাইক দিয়ে চোঙার সাহায্যে চলছিল অনুষ্ঠান। দলের ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে প্রবল বিরক্ত হন এলাকার বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। তিনি মাইক বাজানো বন্ধ করেন। এলাকা থেকে সেসব মাইক খোলানোর ব্যবস্থা করেন।

Advertisement

তৃণমূলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি পদেও রয়েছেন কল্যাণ ঘোষ। দেখা গেল দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে মাইক বাজানোর জন্য রীতিমতো ধমক দিলেন কল্যাণ। বারবার বারণ সত্ত্বেও কেন চোঙা বাজিয়ে রক্তদান শিবির হচ্ছে? সেই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। সঙ্গে সঙ্গে রক্তদান শিবিরে সেই মাইক ও চোঙা খুলিয়ে দিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ আছে মাধ্যমিকের এক সপ্তাহ আগে থেকে মাইক বাজানো যাবে না। এখানে রক্তদান শিবিরে মাইক বাজানো হচ্ছে দেখে আমি চোঙা খুলিয়ে দিলাম। হাইকোর্ট ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে আমি প্রতিফলিত করলাম।”

প্রসঙ্গত, এদিন সাঁপুইপাড়া বসুকাঠি তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এই রক্তদান শিবির ছিল। এখানে কুমিল্লাপাড়া পল্লিমঙ্গল সমিতির মাঠে সকাল থেকে মাইক বাজিয়ে চলছিল রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষ্যে এলাকায় লাগানো হয়েছিল প্রচুর মাইক। এই শিবিরে আমন্ত্রিত ছিলেন কল্যাণ। শিবিরে উপস্থিত হয়েই মাইক বাজানো হচ্ছে দেখে প্রবল বিরক্ত হন। আয়োজকদের প্রকাশ্যে বকাঝকাও করেন। দ্রুত মাইক বন্ধ করে সেসব খোলার নির্দেশ দেন। কিছু সময়ের মধ্যেই এলাকার সব মাইক খুলে ফেলা হয়।

মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। অথচ অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হচ্ছে এটা দেখে অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠেননি কল্যাণ। উদ্যোক্তারা অবশ্য ভুল করার জন্য জেলা সভাপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। বিধায়ক আরও বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের এই সময় পড়াশোনার যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তা লক্ষ্য রাখা হবে। আমি দলের নেতা-কর্মীদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement