স্টাফ রিপোর্টার: চলতি শীতেই ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে গঙ্গাবক্ষে জয় রাইড উপভোগ করতে পারবেন শহরবাসী। আগামী বছরের গোড়াতেই প্রথম গঙ্গায় নামবে এই জলযান। ছুটবে ঝড়ের গতিতে। দ্রুত পৌঁছে যাবে গঙ্গার এক জায়গা থেকে অন্যত্র। তবে রাজ্য সরকারের তরফে শুধুমাত্র জয় রাইডের জন্যই এই জলযান নামানো হচ্ছে, তেমনটা নয়। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও ব্যবহার করা হতে পারে এই ট্যাক্সি। আপাতত দু’টি জলযান নামলেও ভবিষ্যতে আরও একাধিক ওয়াটার ট্যাক্সি নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কারণ জয় রাইড ছাড়াও নদীপথে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তাতে চড়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তারা।
[সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে খুশি, মমতাকে ধন্যবাদ ভ্যাটিকানের প্রতিনিধির]
এই ধরনের ওয়াটার ট্যাক্সি কোচিতে খুবই জনপ্রিয়। সেখানকার ছাঁচেই এবার এখানেও এই জলযান চালু করা হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা কোচিতে গিয়ে সেখানকার জলযান দেখেও এসেছেন। প্রতিটি ওয়াটার ট্যাক্সিতে সিট থাকছে আট’টি। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের যে জলযান গঙ্গায় নামবে, সেগুলির সিটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও মডেল থাকবে প্রথম দু’টির মতোই।
দপ্তর সূত্রে খবর, মূলত পর্যটনক্ষেত্রে বিভিন্ন সার্কিট তৈরি করে তা চালানো হবে। যেমন ধরা যাক, মিলেনিয়াম পার্ক-দক্ষিণেশ্বর-বেলুড় মঠ। ঘণ্টা দু’য়েকের ছোট্ট টুর যে কেউ করে ফেলতে পারবেন ওই ট্যাক্সিতে। ভাড়া কত হবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। এই ওয়াটার ট্যাক্সি ফাইবার বা এফআরপি দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ঘণ্টায় ১২-১৩ কিলোমিটার বেগে ছুটবে। সাধারণ ভেসেল চলে ঘণ্টায় ৬-৭ কিলোমিটার বেগে। ফলে গতি বেশ ভালই থাকবে বলেই জানান দপ্তরের এক আধিকারিক।
[ডেঙ্গু আতঙ্ক হটাতে সাফাই অভিযানে নামলেন গৃহবধূরাই]
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গাবক্ষে এই ওয়াটার ট্যাক্সি নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এর আগে টেন্ডারও করা হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ সাড়া না পাওয়ায় ফের টেন্ডার করা হয়। দপ্তরের এক কর্তা জানান, শুধু যে জয় রাইড হিসাবেই এই জলযান ব্যবহার করা হবে তা নয়। তার অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। কখনও কোনও মন্ত্রী জলপথে কোনও এলাকা ভিজিট করলে এই ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে চলে যেতে পারবেন। তাছাড়া জলপথে দুর্ঘটনা ঘটলে এই ওয়াটার ট্যাক্সি খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেবে। কারণ এখন যে ভেসেলগুলো রয়েছে, তাতে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। যেমন ধরা যাক, ভদ্রেশ্বরে জেটি দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলে কলকাতা থেকে দ্রুত প্রশাসনিক কর্তারা সেখানকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু সাধারণ জলযানে সেখানে পৌঁছতে অনেকটাই সময় ব্যয় হয়। এই ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হলে দ্রুত এমন জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন তাঁরা। বর্তমানে যে জলযান দু’টি নামানো হচ্ছে সেগুলি রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের টাকাতেই কেনা হচ্ছে। একেকটির দাম ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় এই ধরনের আরও জলযান গঙ্গায় নামানো হবে।
[ইন্ডিগোকে ব্যঙ্গ করে টুইট এয়ার ইন্ডিয়ার, ভাইরাল জেটের ভুয়ো বিজ্ঞাপনও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.