Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল

দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই, বাসন্তীতে গুলিতে খুন তৃণমূল কর্মী

মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে উঠল অবরোধ।

Trinamool Congress worker shot at by assailants at Basanti area

প্রতীকী ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 3, 2019 12:18 pm
  • Updated:December 3, 2019 4:27 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বাসন্তিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। নাম সাহবুদ্দিন সরদার। মঙ্গলবার সকালে লেবুখালি গ্রামে ধুন্ধুমার বাধে। বোমা ও গুলির আঘাতে জখম সাহবুদ্দিনকে বাসন্তি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সাহবুদ্দিনের দেহ নিয়ে বাসন্তি হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।একটানা ৪০ মিনিট অবরোধ চলে। অবরোধ কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অবরোধ তুলতে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি বাসন্তির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মন্টু কাজিকে ফোন করেন। ফোনে তাঁকে না পেয়ে তাঁর ছেলে রাজা কাজিকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোনে তিনি জানান,  “পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত  ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অবরোধ তুলে নিন।” মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।তবে এখনও থমথমে গোটা এলাকা। অশান্তি ঠেকাতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলীয় নেতৃ্ত্ব। তাঁদের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই যুবক। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। তবে সে কথা মানতে নারাজ অপরপক্ষ।

[আরও পড়ুন :মানবিক মন্ত্রী, মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের]

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বাসন্তী। এদিন সকাল থেকে ফের অশান্তি বাধে। জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে কয়েকদিন ধরে এলাকা ছাড়া ছিলেন সাহবুদ্দিন।এদিন সকালে এলাকায় পুলিশ আসার পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেসময় তাঁকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে অপর গোষ্ঠীর তরফে বোমা ছোঁড়া হয়। পরে গুলিও চালানো হয়। সাহবুদ্দিনের ডানচোখের কাছে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাসন্তি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : জাঁকিয়ে শীত রাজ্যজুড়ে, একধাক্কায় পারদ নামল ২.৫ ডিগ্রি ]

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী ছুটে আসে। তাঁরা এলাকা ঘিরে ফেললে বিবাদমান দুই পক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়। তবে এখনও এলাকা থমথমে। চলছে পুলিশি টহল। দোকানপাটও বন্ধ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই চলছিল। এদিনও সেই লড়াইয়ের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ঢাকার বিশেষ আদলতে]

যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভি্যোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের বাসন্তি ব্লকের যুব সভাপতি আমানুল্লা লস্কর। তাঁর কথায়, “এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।” তবে তাঁর এই দাবি মানতে নারাজ বাসন্তির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মন্টু কাজি। তাঁর দাবি, “এলাকা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল যুব তৃণমূলের নেতারা। বারবার এলাকায় অশান্তি হচ্ছিল। সেকথা পুলিশকে জানিয়েওছিলাম। কিন্তু তাঁর আগেই এই অঘটন ঘটে গেল।” পুলিশ অবশ্য এবিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। পুলিশ জানায়, এলাকায় অশান্তি হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবক। তবে কেন এই অঘটন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ