Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশ অভিমুখে ধেয়ে যাচ্ছে রোয়ানু

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু

Tropical Cyclone Roanu a Flood Threat in Eastern India, Bangladesh
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 21, 2016 5:10 pm
  • Updated:May 21, 2016 5:10 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু৷ তবে পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে বাংলাদেশের অভিমুখে ঘুরে গিয়েছে তার গতিপথ৷ ফলে দুর্বল রোয়ানুর প্রত্যক্ষ প্রভাব এরাজ্যে পড়ার সম্ভাবনা কম৷ যদিও আজ দিনভরই দফায় দফায় বৃষ্টি ঝরাবে সে৷ সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কাছে এই ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা৷ তবে তাঁর প্রভাব যথেষ্টই কমেছে৷ তাই কলকাতায় কাটতে চলেছে দুর্যোগের আশঙ্কা৷ বর্তমানে পারাদ্বীপের থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে রোয়ানু৷  ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’-র প্রভাবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেই ‘রোয়ানু’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে৷ আজ আছড়ে পড়ার কথা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে৷ ‘রোয়ানু’-র প্রভাবে আজ শনিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷

আবহাওয়া দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রাতে রোয়ানু বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কক্সবাজার এবং ক্ষেপুপাড়ায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা৷ এই ঝড়ের প্রভাবে আজ উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ দিনভর হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকবে৷ সমুদ্রে মৎসজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম৷ তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও৷ দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর বকখালি, পাথরপ্রতিমা, সুন্দরবন-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ দিনভর প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হচেছ৷ ক্রমেই সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠছে৷ গতকালই দিঘায় দমদমের এক পর্যটক নিখোঁজ হয়ে যান৷ এখনও তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি৷ কাঁথির জুনপুটে পরিস্থিতি দেখতে যান বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী৷

Advertisement

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলার খুব কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়ায় সমুদ্র লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে৷ পাশাপাশি সমুদ্রে এক থেকে দেড় মিটার জলোচ্ছাস হতে পারে৷ যে কারণে উপকূলবর্তী জেলার মৎস্যজীবীদের সমু্দ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে৷ পরিস্থিতির আগাম আঁচ করে বিপর্যয় ঠেকাতে গতকাল তড়িঘড়ি নবান্নে যান আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ৷ সেখানে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন৷

Advertisement

আজ সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টিতে ছন্দপতন হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবনে৷ প্যাচপেচে কাঁদা ভেঙে অফিস-কাছারিতে যেতে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা৷ এদিকে ঝড়ের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফেও বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে৷ যদিও আদৌ এরাজ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে সংশয়ে সাধারণ মানুষ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ