দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: একদিকে সাগরদিঘি (Sagardighi) উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার, অন্যদিকে আইএসএফ (ISF) বিধায়ক তথা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলবন্দি করে রাখা, জোড়া ইস্যুর খানিক আঁচ পড়েছিল ফুরফুরা শরিফে। শনিবার, নওশাদের জেলমুক্তির আবহে তৃণমূলের (TMC) উদ্দেশে কার্যত সতর্কবার্তা দিলেন ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই বার্তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
কার্যত অঘটন ঘটিয়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই প্রার্থীর কারণেই সেখানে শাসকদলের পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করছেন ত্বহা সিদ্দিকি (Twaha Siddique)। তাঁর কথায়, ”প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। নাহলে গোটা বাংলাই সাগরদিঘির মতো ফলাফলের প্রতিফলন হবে। কেন ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু এলাকায় কোনও সংখ্যালঘু প্রার্থী নেই? হিন্দু এলাকায় হিন্দু প্রার্থী, মুসলিম এলাকায় কোনও মুসলিমকে প্রার্থী করা উচিত।”
সাগরদিঘিতে প্রার্থী নির্বাচন কে করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ত্বহা সিদ্দিকি। তাঁর বক্তব্য, ”প্রার্থী কে ঠিক করেছেন? মমতা নাকি অভিষেক? আমি নিশ্চিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘিতে প্রার্থী নির্বাচন করলে তিনি নিশ্চয়ই সংখ্যালঘু ফ্যাক্টরের কথা মনে রাখতেন।” তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি তাঁর বার্তা, দলের রাশ নিজের হাতে রাখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আলগা করবেন না। প্রসঙ্গত, টানা ৪২ দিন পর জেল থেকে মুক্ত হয়ে ফুরফুরায় ফিরছেন নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। সেখানে উৎসবের মেজাজ। তবে তারই মধ্যে ত্বহার এই সতর্কবার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.