Advertisement
Advertisement

Breaking News

জামাইষষ্ঠীর খরচ তুলতে তোলা, এক পুলিশকর্মী-সহ ধৃত ২

ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজতেই দীঘা-মেচেদা সড়কে নেমে পড়ে ছয় বন্ধু৷ গাড়ি, পর্যটক বোঝাই বাস আটকে চলতে থাকে তোলা আদায়৷

Two Along With One Policeman Arrested For Capturing Money For Jamai Shashthi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 11, 2016 10:16 am
  • Updated:June 11, 2016 12:17 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী৷ শাশুড়িমাতা ফোনে বারবার আসতে বলে দিয়েছেন৷ এছাড়া বউয়ের গুঁতো তো রয়েছেই৷ কিন্তু জামাইয়েরও তো একটা খরচ রয়েছে৷ শ্বশুর-শাশুড়ির জামাকাপড়, ফল-মিষ্টি৷ নয়-নয় করে বেশ কিছু কড়কড়ে নোট বেরিয়ে যাবে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে বৃহস্পতিবার রাতে ছয় বন্ধুর আড্ডায় এ নিয়েই চর্চা চলছিল৷ হঠাৎই পেশায় এক পুলিশ কর্মী প্রস্তাব দেয়, ‘চল রাতে গাড়ি আটকে টাকা তুলি৷ জামাইষষ্ঠীর খরচ উঠে আসবে৷’ সঙ্গে সঙ্গে বাকি পাঁচ বন্ধু প্রস্তাবটিকে লুফে নেয়৷
যেমন কথা তেমন কাজ৷ ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজতেই দিঘা-মেচেদা সড়কে নেমে পড়ে ছয় বন্ধু৷ গাড়ি, পর্যটক বোঝাই বাস আটকে চলতে থাকে তোলা আদায়৷ এক ট্রাক ড্রাইভার খবর দেন টহলদারি পুলিশের দলকে৷ সেইমতো টহলদারি দলটি পৌঁছে যায় মকরাজপুর বাসস্টপে৷ সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছ’জন দিব্যি গাড়ি আটকে তোলা তুলছে৷ পুলিশের ভ্যান দেখেই পালাতে থাকে ছয় তোলাবাজ৷ কিন্তু চারজন পালাতে সমর্থ হলেও দু’জন ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে৷
চণ্ডীপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃতদের নাম মানস সিট ও বুদ্ধদেব মাইতি৷ দু’জনেরই বাড়ি চণ্ডীপুর থানার খাগদাবিট গ্রামে৷ ধৃত মানস হাওড়া জেলা পুলিশের কনস্টেবল৷ তিনদিনের ছুটিতে সে গ্রামের বাড়িতে আসে৷ মূলত মানসই বাকি পাঁচজনকে তোলা তুলতে উৎসাহিত করে৷ পুলিশি জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, জামাইষষ্ঠীর খরচ তুলতেই এই কাজ করছিল তারা৷ ওই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ১৬ হাজার টাকা তুলে ফেলেছিল বলে জেরায় জানায় মানসরা৷
শুক্রবার দু’জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ধৃতদের বিরু‌দ্ধে তোলাবাজি, চুরি ও ছিনতাইয়ের কেস দেওয়া হয়েছে৷ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে৷”

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ