Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেলার মুখরক্ষা করল দুই কৃতী ছাত্রী, খুশির হাওয়া বালুরঘাটে

উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও নবম স্থান অধিকার করেছে জেলার দুই ছাত্রী।

Two Balurghat girls in top ten WBCHSE exam 2018 toppers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 8, 2018 5:40 pm
  • Updated:June 8, 2018 5:40 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্য ধরে রাখল উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও নবম স্থানাধিকারী দুই কৃতী ছাত্রী। দুজনেই বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়েরই ছাত্রী। নয়নিকা রায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে সে। ৪৮২ নম্বর পেয়ে প্রত্যুষা সাহা হয়েছে নবম। মাধ্যমিকে এবছর জেলা থেকে একজন অষ্টম স্থান অধিকার করলেও প্রতাশা পূরণ হয়নি জেলার মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেই নজর ও আশা ছিল সকলের।

[ প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, এবার প্রথম জলপাইগুড়ির গ্রন্থন সেনগুপ্ত ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের নাম করা স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বালুরঘাট হাই স্কুল এবং বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুল। তবে অন্য দুই স্কুলকে পিছনে ফেলে এবছর জয়জয়কার ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের। ওই স্কুলের কলা বিভাগের নয়নিকা রায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫ (৯৭ শতাংশ)। সে বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৮, ভূগোলে ৯৮, দর্শনে ৯৫, সংস্কৃতে ৯৫ এবং কম্পিউটারে ৯৭ পেয়েছে। অপরদিকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী প্রত্যুষা ৪৮২ নম্বর (৯৬.৪ শতাংশ) পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯৫, অংকে ১০০, ফিজিক্সে ৯৫, কেমিস্ট্রিতে ৯৫ এবং বায়োলজিতে ৯৭ পেয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের ষষ্ঠ তালিকায় থাকা বালুরঘাট স্টেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা নয়নিকার বাবা  প্রসেনজিৎ রায়। পেশায় তিনি একজন প্রাথমিক শিক্ষক। মা দেবলীনা রায় গৃহবধূ। নয়নিকা জানিয়েছে, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাকে বরাবর সহযোগিতা করেছে। মাধ্যমিকে ৬২৩ পেয়ে ৮৭ শতাংশ পেলেও মেধা তালিকায় আসতে পারেনি সে। এরপরেই পড়াশুনায় জোর দিয়েছিল নয়নিকা। ভাল ফলাফল হবে আশা করলেই ষষ্ঠ হবে বলে ভাবতে পারেনি সে। ইংরেজি নিয়ে পড়াশুনা করে অধ্যাপিকা হতে চায় নয়নিকা।

[ বাবার সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে সাফল্য উদযাপন উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম গ্রন্থনের ]

অন্যদিকে বালুরঘাট শহরের ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা প্রত্যুষা বরাবর স্কুলে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে থাকত। বাবা বিমান কৃষ্ণ সাহা ও মা শিপ্রা সাহা দু’জনেই ডাক বিভাগে কর্মরত। প্রত্যুষা জানিয়েছে, রসায়ন নিয়ে পড়াশুনা করে গবেষণা করতে চায় সে।

বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, পড়াশোনার ব্যাপারে তাঁদের স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের সবরকম সহযোগিতা করে আসছেন। মাধ্যমিক তো বটেই, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁদের স্কুল রাজ্যের মেধা তালিকায় বরাবর স্থান পেয়ে থাকে। ২০০৯ সালে  তাঁদের স্কুল থেকে একসঙ্গে ৫ জন মেধা তালিকায় স্থান পায়। ২০১১ সালে চতুর্থ হয় তাঁদের স্কুলের ছাত্র। এছাড়া আরও অনেকবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে তারা সফল হয়। নয়নিকা এবং প্রত্যুষার উপর তাঁদের এমনটাই আশা ছিল। সে আশা পূরণ করেছে দুই কৃতী ছাত্রী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ