ছবি: প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: ভ্রুণহত্যার ঘটনা যখনই শিরোনামে উঠে এসেছে, বেশিরভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে, সেই ভ্রুণ কন্যা সন্তানের। কিন্তু এবার লাইনের উপর থেকে উদ্ধার হল দুই সদ্যোজাতর মৃতদেহ। যারা উভয়ই পুত্র সন্তান! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রানাঘাট শাখার শিমুরালির ও মদনপুর স্টেশনের মাঝে আপ ও ডাউন লাইনে রবিবার পাশাপাশি দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই খবর দেন রেল পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার করে আরপিএফ। মৃতদেহ দুটিকে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, দুই সদ্যোজাতই পুত্র সন্তান। দেহ দুটি কে বা কারা এখানে ফেলে গিয়েছে, কেনই বা এখানে দেহ দুটি ফেলা হল, সে নিয়ে তদন্তে নেমেছে আরপিএফ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুটি আলাদা প্লাস্টিকে আলাদাভাবে মোড়া ছিল দেহ দুটি। রেল পুলিশের ডিসিপি (গেদে) নরেন্দ্র কুমার দত্ত জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশু দুটির প্রমাণ লোপাটের জন্যই তাদেরকে এভাবে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাইনের উপর পাশাপাশি রেখে গিয়ে যে তাদের হত্যা করারই পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাও অনেকটাই স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই ৩১৫ ও ৩১৮ নম্বর ধারায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করা হয়েছে। কোন হাসপাতাল থেকে দেহ দুটি এনে রেল লাইনে ফেলা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ দুটি যমজ সন্তানের বলেই ধারণা রেল পুলিশের। প্লাস্টিকের মোড়কে থাকায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলেই জানাচ্ছে আরপিএফ।
সদ্যোজাতদের রেল লাইনে ফেলার ঘটনা কারও চোখে পড়েছে কি না, স্থানীয়দের সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। যদিও কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলতে না পারেননি। তবে ভোররাতেই কেউ দুই সদ্যোজাতকে এভাবে ফেলে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.