রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কয়েকমাস আগেই ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীর। নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন কয়েকজন। মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরেছেন কেউ কেউ। ফের সেই স্মৃতি উসকে দিল শংকরপুরের ঘটনা। নৌকোডুবির পর সমুদ্রে কয়েক ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ৩ মৎস্যজীবী। জানা গিয়েছে, তাঁদের বাকি ২ সঙ্গী অন্য ট্রলারে গিয়ে উঠেছেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন পূর্ব মেদিনীপুরের শুকদেব মাঝি, বিকাশ দাস, নন্দকুমার নন্দ, গৌর বর্মণ ও স্বদেশ। যন্ত্রচালিত বোটে চেপে শংকরপুর থেকে সমুদ্রে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘটনাচক্রে শংকরপুর থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে ওই মৎস্যজীবীদের বোটটি খারাপ হয়ে যায়। প্রবল ঢেউয়ের ফলে সেটিতে ফুটোও হয়ে যায়। ততক্ষণে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। রাতের আঁধারেই বাঁচার চেষ্টায় লড়াই শুরু হয় ৩ মৎস্যজীবীর। বেগতিক বুঝে প্রাণ বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় দু’জন। এরপর বোট হারিয়ে তেলের খালি ব্যারেল ও বাঁশ আঁকড়ে ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত ওই ৫ মৎস্যজীবীদের মধ্যে শুকদেব, বিকাশ ও নন্দকুমার রবিবার রাতে ওঠেন দীঘার ক্ষণিকা ঘাটে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে দীঘা থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গৌর ও স্বদেশের খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বোট ডুবে যাচ্ছে দেখে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে দূরের একটি ট্রলারের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁরা একটি ট্রলারে উঠেছিলেন। সোমবার তারা ওয়ারলেসের মাধ্যমে পুলিসকে তাদের বেঁচে থাকার খবর জানান। এখনও যেন আতঙ্ক কাটছে না উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের। সুস্থভাবে যে ফিরতে পারবেন, তা ভাবতে পারেননি মৎস্যজীবীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.