বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফের তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিনহাটা কলেজ। এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত। শেষপর্যন্ত দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে একে গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চড়াও হয়। এমনকী এক ছাত্রকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিনভর অশান্তির জেরে কলেজ চত্বর থমথমে হয়ে রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটও। তবে অশান্তির ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
দিনহাটা কলেজে কার কর্তৃত্ব থাকবে, তা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, তৃণমূল যুবনেতা অজয় রায়ের কলেজে একছত্র অধিকার। পালটা কলেজের সেই ক্ষমতা দখল করতে চাইছে দিনহাটার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ ঘোষ ও টিএমসিপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরি। অভিযোগ, সোমবার কলেজে এসে জয়দীপ ঘোষ ও সাবির সাহা চৌধুরি-সহ তাদের লোকজন এসে অশান্তি শুরু করে। সেসময় এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দুই গোষ্ঠী সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর রাস্তায় ফেলে এক ছাত্রকে লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
[আরও পড়ুন : সিসিটিভি ফুটেজের প্রাণীটি বাঘরোল, কোন্নগরে বাঘের আতঙ্ক ওড়াল বনদপ্তর]
ঘটনা প্রসঙ্গে অজয় রায়ের গোষ্ঠীর অভিযোগ, এর আগে ছাত্র সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ছাত্রনেতা অলোক নিতাই দাস। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল জয়দীপ ঘোষ ও সাবির সাহা চৌধুরি। সেই সময় ওই দুই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গ্রেপ্তারও হয়েছিল ওই দুজন। এখন জামিনে মুক্ত রয়েছে তারা। এমনকী সাবিরকে ফিরিয়েও নেয় তৃণমূল। এরপরই কলেজের ক্ষমতা দখল করতে তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।