Advertisement
Advertisement

Breaking News

মালদহে মহিলাদের কোদালে বেঁচে উঠছে মরা মহানন্দা

১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে নদী সংস্কারের কাজে মগ্ন গোটা গ্রাম, পাশে পুরুষরাও।

Village Women's trying to revive River Mahananda again
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 21, 2017 4:04 am
  • Updated:October 8, 2019 1:25 pm

স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ: মরা মহানন্দাকে বাঁচাতে হাতে ডালি-কোদাল-খুন্তি ধরেছে প্রমীলা বাহিনী৷ পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নদী খুঁড়ছেন গ্রামের মহিলারাও৷ মরা গাঙে বান আনতে নদী সংস্কারের কাজে মগ্ন গোটা গ্রাম৷ সৌজন্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্প৷ পাগড়ি বেঁধে ডালি মাথায় তুলে পঞ্চাশোর্ধ্ব বিধবা আলমিরা বেওয়া বললেন, “মরা মহানন্দায় আবার জোয়ার আসবে৷ প্রাণ খুলে জলে নেমে স্নান করব৷ তাই কোমর বেঁধে কাজে নেমেছি৷” গৃহবধূ নাফিসা বেগমের কথায়, “পরদেশ গিয়ে মাটির কাজ করতে হত৷ বাড়ির কাছেই কাজ করছি৷ পঞ্চায়েত থেকে জব কার্ড দিয়েছে৷ মজুরিও পাচ্ছি৷” গ্রামের পরিকাঠামো বদলানোর পাশাপাশি রুজিরুটির সমস্যাও দূর হচ্ছে৷ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে আর যেতে হচ্ছে না৷ একশো দিনের প্রকল্পে রোজ কাজ পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরাও৷

মহানন্দা নদীটি শুকিয়ে গিয়েছে৷ আর সেই নদীবক্ষেই ডালি-কোদাল হাতে নিয়ে নেমে পড়ছেন উত্তর মালদহের চাঁচোল মহকুমার অখ্যাত  দামাইপুর গ্রামের বাসিন্দারা৷ মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই পুরনো দামাইপুর গ্রামের মানুষজন মেতে উঠেছেন নদী সংস্কারের কাজে৷ ঝোপ-জঙ্গল-আগাছা কেটে ফেলার সঙ্গে তাঁরা মাটি খননও করছেন৷ এখন আর চাঁচোলের মরা মহানন্দা নদীর কোনও উৎস নেই৷ ফলে ভরসা স্রেফ বৃষ্টির জলই৷ নদীর খনন কাজ সম্পন্ন হলে বৃষ্টির জল ধরে রাখা যাবে৷ ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পটিকেও একশো দিনের কাজের সঙ্গে জুড়ে দিতে চাইছে মহকুমা প্রশাসন৷ দামাইপুরের পঞ্চায়েত সদস্য বানিজুদ্দিন শেখ জানান, মরা মহানন্দা নদী সংস্কারের জন্য প্রথম পর্যায়ে একশো দিনের প্রকল্প থেকে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য চাঁচোল-দুই নম্বর ব্লক প্রশাসনের কাছে পঞ্চায়েতের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে৷ কাজের সূচনা হয়েছে বুধবার৷

Advertisement

এদিন শুক্রবারও জোরকদমে কাজ চলে৷ কাজ পেয়েছেন দামাইপুরের বাসিন্দারাই৷ যে গ্রাম সংসদ এলাকায় কাজ হবে, সেই সংসদের জব কার্ডধারীরাই কাজ পাবেন৷ এই নিয়ম মেনে চলছে জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ৷ ফলে কাজ পাওয়া, না-পাওয়া নিয়ে কোথাও কোনও রকম ক্ষোভ-বিক্ষোভ নেই৷ এখানে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রত্যহ শতাধিক জব কার্ডধারী কাজে নিযুক্ত থাকবেন৷ শুধু নদী সংস্কারই নয়, একশো দিনের প্রকল্পের প্রত্যেকটি স্কিমের কাজে সমহারে প্রমীলাদেরও নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসেদ আলি৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ