Advertisement
Advertisement

মৃত্যুর আশঙ্কায় টিকাকরণে অনীহা বাসিন্দাদের! রামপুরহাটের হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে ভ্যাকসিন

গ্রামবাসীদের ভয় কাটাতে উদ্যোগী জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক।

Villagers are reluctant to vaccinate, vaccine is being wasted in Murarui hospital | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 13, 2021 7:31 pm
  • Updated:May 13, 2021 7:31 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের অভাব। এই পরিস্থিতিতেই দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার অনীহার কারণে ভ্যকসিন নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের (Birbhum) মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে। পরিস্থিতি এমন যে, রামপুরহাট জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান গ্রামবাসীদের বোঝাতে একটি কমিটি গঠন করলেন। ইদ মিটতেই এলাকাবাসীদের বোঝাতে গ্রামে যাবেন কমিটির সদস্যরা।

মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রথম ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজারে। সরকারি নিয়মে প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৮ দিন থেকে ৪৪ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু প্রথম ডোজ নেওয়ার পর গ্রামের মানুষ আর দ্বিতীয় ডোজের জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রমুখী হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এদিকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য হিসাব মতে তাদের জন্য হাসপাতালে কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন মজুত করা রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন নিয়ম করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিনের জন্য আসছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। কিন্তু যারা নেবেন তাঁরা আসছেন না। মুরারই গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সেখানে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকশিন নিয়েছেন মাত্র ৪৯ জন। বুধবার ৪৬ জন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে পরিবর্তনের ১০ বছর, মুখ্যমন্ত্রী মমতার আমলে কী পেল বাংলা?]

মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসিফ আহমেদ জানান, “দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। দুটি ভ্যাকসিনই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু এলাকার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিতে আগ্রহ কম দেখাছে। কারণ তাঁদের ধারণা, ভ্যাকসিন নিলেই মৃত্যু হচ্ছে।” আসিফ আহমেদের কথায়, “আমরা তাও বুঝিয়ে কিছু মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পেরেছি। যাঁরা নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে তাঁদের তালিকা বিডিওকে পাঠিয়েছি।” জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার সন্তোষপুর-খানপুর এলাকার মানুষ এই দ্বিতীয় ডোজ নিতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই গ্রামের বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই দ্বিতীয় ডোজ তাঁরা নেবেন না। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্র নাথ প্রধানের তৈরি কমিটির সদস্যরা মানুষের ভয় কাটাতে সক্ষম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ