Advertisement
Advertisement

আধিকারিকদের আমন্ত্রণপত্রে সমাবর্তনে বঙ্গ বিজেপির নেতারা, বিশ্বভারতীতে কার্ড কেলেঙ্কারি

কেন বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য, কৃষ্টিতে লাগল এমন কেলেঙ্কারির দাগ? প্রশ্ন পড়ুয়াদের

Vishwa Bharati's 'Jai Shri Ram' slogan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2018 7:51 pm
  • Updated:May 27, 2018 7:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসেছিলেন বিশেষ অতিথি হয়ে৷ রাজ্য পা রেখেই হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্র অনুরাগী৷ রবিঠাকুর আওড়ে দর্শকদের মনও জয় করে নিয়েছিলেন তিনি৷ তবে, হঠাৎ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতেই বাধল বিপত্তি৷ আর এই জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠাকে কেন্দ্র করেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির৷ প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের মধ্যে থেকে কীভাবে উঠল এমন ধ্বনি? তাহলে কী ছাত্রছাত্রীর আড়ালে ক্যাম্পাসের ক্যাডার ঢুকিয়েছে বিজেপি?

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে প্রথমবার আচার্য হিসাবে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদি৷ রাজ্যে মোদিকে স্বাগত জানাতে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের৷ কখন মেয়েকে সামনে রেখে, অটোগ্রাফ চেয়ে, কখনও আবার ভাষণের প্রশংসা করে মোদির সামনে মুখ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন করে গিয়েছিলেন রাজ্যের নেতারা৷ ফলে, প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতেই সম্ভবত ভাষণের মাঝে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে বিশ্বভারতীর মাঝেও বিজেপির উপস্থিতি প্রমাণ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল৷

Advertisement

মোদীকে সন্তুষ্ট করার জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে সব রকমের ব্যবস্থা রাখা হলেও চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা৷ অভিযোগ, মোদীর নিরাপত্তার জন্য প্রচণ্ড যখন তীব্র জলকষ্টে ভুগছে পড়ুয়ারা, তখন ‘মোদি’ ‘মোদি’ চিৎকারে নষ্ট হওয়ার উপক্রম বিশ্বভারতীর স্নিগ্ধতা, শান্ত পরিবেশ৷

Advertisement

এমনিতেই, সমাবর্তনে ১৫ হাজার পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ অতিথি, পড়ুয়া মিলিয়ে প্রায় ২০-৩০ হাজারের জনসমাগম হবে বলে ধরে নিয়ে সূচি তৈরি হয়েছিল৷ অভিযোগ, সমাবর্তনে বহিরাগত ঢুকিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক করে তোলার চেষ্টা করে বিজেপি৷ জানা গিয়েছে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ১০০-এর বেশি কার্ড চেয়েছিল৷ বিশ্বভারতীর ধারণা ছিল, সেই কার্ডে মন্ত্রকের আধিকারিকরা আসবেন৷ কিন্তু দেখা গেল সেই কার্ড নিয়ে এলেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির রাজ্য নেতারা। তাঁদের সঙ্গে আরও বহু লোক, যাঁরা বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য, কৃষ্টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না৷ পডুয়াদের অভিযোগ, তাদেরই মধ্য থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যে আঘাত করেছে৷

এমনিতেই ১০ বছর পর সমাবর্তন হয়েছে এবার৷ ফলে সপ্তপর্ণী প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারের কাছাকাছি৷ যাঁদের অনেকে ৫ থেকে ৮ বছর আগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করে চলে গিয়েছিলেন৷ তাঁদের দু’টি করে পাস দেওয়া হয়েছিল৷ বিশ্বভারতীর এই প্রাক্তনী ও তাঁদের সঙ্গীরা সংখ্যায় ২০ হাজার ছাপিয়ে যায়৷ এমনিকেই ভিড়ের চাপে অধিকাংশ পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসের বাইরেই কাটাতে হয়েছে৷ ঠাঁ ঠাঁ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ১৫ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ প্রশ্ন উঠছে, ভিড়ে ঠাসা বিশ্বভারতীর মধ্যে কীভাবে ঢুকল বহিরাগতরা? কেন বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য, কৃষ্টিতে লাগল এমন কেলেঙ্কারির দাগ? বিনা পয়সায় ‘পাস’ পেয়ে শুধুই কি হল আমোদভ্রমণ? প্রশ্ন পড়ুয়াদের৷

ছবি- রাজীব দে

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ