১৭ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  শনিবার ২ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বিশ্বভারতীতে পাঁচিল ভাঙায় উসকানি তৃণমূল বিধায়কের? থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: August 18, 2020 10:07 am|    Updated: August 18, 2020 10:07 am

Vishwabharati authority files complain against TMC MLA is behind the chaos

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে যে নজিরবিহীন বিক্ষোভের সাক্ষী হচ্ছে বিশ্বভারতী (Vishwabharati University), সেই আঁচ পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লির দরবারেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তরে নালিশ জানাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আবার স্থানীয়দের পাঁচিল ভাঙার নেপথ্যে তৃণমূল বিধায়কের উসকানির অভিযোগও করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জট কাটাতে বুধবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। বৈঠকে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেও। সবমিলিয়ে, একেবারে অন্যরকম এক পরিস্থিতির মুখে কবিগুরুর হাতে তৈরি প্রতিষ্ঠানটি।

পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই দাবি এবং উপাচার্যের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করানোর প্রতিবাদে সোমবার কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। স্থানীয় এবং পড়ুয়াদের একাংশ পে লোডার (Pay Loader) নিয়ে গিয়ে নির্মাণকাজ ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল কেন, এই প্রশ্ন তুলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। রাস্তাও অবরোধ করা হয়।

রাতভর অবস্থানের পর সকালে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়। উপাচার্যের অভিযোগ, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পে লোডার এনে পাঁচিল ভাঙার কাজে সোমবার স্থানীয়দের উসকানি দিয়েছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি।

[আরও পড়ুন: পাঁচিল নিয়ে উত্তেজনার মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিজ্ঞপ্তি! প্রশ্নের মুখে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ]

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবারের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউড়ি ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন বোলপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার ওমর শেখ, সুকান্ত হাজরা, নেতা দেবব্রত সরকার, চন্দন সামন্ত, সুনীল সিং, সুব্রত ভকত, আমিনুল হুদা। এঁদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিতে পরিকল্পিত ভাঙচুর, লুটপাট, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনা জানানো হচ্ছে। এদিকে, বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জট কাটাতে তৎপর জেলা প্রশাসন। বুধবা তাই নিজের দপ্তরে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করবেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা।

[আরও পড়ুন: জ্বর-শ্বাসকষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু, করোনা সন্দেহে ফোনেই মুখাগ্নির মন্ত্র পড়লেন পুরোহিত]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে