Advertisement
Advertisement

ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্বভারতীর ছাত্রের যাবজ্জীবন

বিশ্বভারতীতে এক বিদেশি নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্র সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত৷ সেইসঙ্গে ছাত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন সিউড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস৷

 Visva Bharati student gets lifetime imprisonment for rape
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 2, 2016 3:03 pm
  • Updated:June 2, 2016 3:03 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বভারতীতে এক বিদেশি নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্র সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সিউড়ি আদালত৷ সেইসঙ্গে ছাত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন সিউড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস৷
বুধবার সিউড়ি আদালত অভিযুক্ত ছাত্র সফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক৷ পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে সাজা কম করার আবেদন জানায় ছাত্র৷ কিন্তু বিচারক ঘটনাটিকে ‘জখন্যতম’ আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন৷ ছাত্রীটির ভবিষ্যতের দিকে তাঁকিয়ে রাজ্য সরকারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে ছাত্রীকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে৷ সিউড়ি আদালতের এই রায়ের কপি পাঠানো হচ্ছে ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক, বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতা হাই কোর্টে৷ আদাতের রায়ে খুশি বিশ্বভারতীতে পাঠরত বিদেশি পড়ুয়ারা৷ সঞ্জিদা বেগম নামে এক ছাত্রী বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ছিল৷ ঘটনায় দেশেরও সম্মানহানি হয়েছে৷ অভিযুক্তর এত বড় শাস্তি হবে ভাবিনি৷ আইনের উপর আস্থা আছে৷” ছাত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে নির্দেশ আদালত দিয়েছে, তাকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা৷
মাধ্যমিক পাস করার পর বিশ্বভারতীতে পড়তে আসে এক বাংলাদেশি ছাত্রী৷ এখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্নাতক স্তরে পাঠরত ওই দেশেরই সিরাজগঞ্জের দাদপুরের ছাত্র সফিকুলের৷ সফিকুল থাকত বিশ্বভারতীর লাগোয়া গুরুপল্লিতে৷ ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীটিকে বাড়ি দেখানোর নাম করে গুরুপল্লিতে নিয়ে যায় সফিকুল৷ তারপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ এমনকী, ওই ঘটনাটি সফিকুল মোবাইলে ক্যামেরাবন্দিও করে৷ এরপর সফিকুল মোবাইলে তোলা ওই ছবি সবাইকে দেখিয়ে দেবে-এই হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীটিকে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং তার কাছ থেকে টাকা আদায় করে৷ শেষে বাধ্য হয়ে ওই বছরেরই ডিসেম্বরের গোড়ায় ছাত্রীটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়৷ তারপর তাঁরা ভারতে এসে বোলপুর থানায় সফিকুলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন৷ ৬ ডিসেম্বর পুলিশ গ্রেফতার করে সফিকুলকে৷ দেড় বছর ধরে বিচার চলার পর এদিন রায় হল৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ