Advertisement
Advertisement

Breaking News

poush mela

একাধিক সমস্যার জের, পৌষমেলার আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

উপাচার্য বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি নষ্ট করছেন, অভিযোগ বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির।

visva bharati university committee decided to stop poush mela this year
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 3, 2020 9:07 pm
  • Updated:July 3, 2020 9:07 pm

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বোলপুর: এবছর পৌষমেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) কর্তৃপক্ষ। তবে পৌষ উৎসবের (৭-৯ পৌষ) যা অনুষ্ঠান হয় তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না। একইভাবে এবার দোলের দিন বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মাসে যে কোনও পূর্ণিমার দিন ঘরোয়া ভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করবে বিশ্বভারতী। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা সর্মথন করলেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।

শুক্রবার শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্র অতিথি গৃহে পৌষমেলা (poush mela) কর্মসমিতির বৈঠক বসে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দুলালচন্দ্র ঘোষ, উপাচার্যের প্রতিনিধি মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায়-সহ আনান্যরা। এখানে মূলত পৌষমেলা বিশ্বভারতী পরিচালনা করবে কি না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২০১৯ সালের পৌষমেলার সময় ব্যাপক দূষণ হলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কার্যকারী কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না বলে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। একই ভাবে ২০১৯ সালে নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবসায়ীরা মেলার মাঠ থেকে না উঠলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৪ বছর ধরে আদিবাসী নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় তৃণমূল উপপ্রধান]

পরে এক ব্যবসায়ী উপাচার্য, কর্মসচিব-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে চুরি মামলা করেন। এমনকী মেলাতে আসা এক গৃহবধূ উপাচার্য ও এক শিক্ষক-সহ পাঁচ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এরপরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেলা পরিচালনা না করার কথা বলে ছিলেন উপাচার্য। তবে পৌষমেলা না হলেও পৌষ উৎসব হবে। ৭ থেকে ৯ পৌষ উপাসনা, পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ, মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, সমাবর্তন এবং খ্রিষ্টোৎসব অনুষ্ঠানগুলি পালিত হবে।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সুনীল সিং এবং সুব্রত ভকত বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌষমেলা বা বসন্ত উৎসব এখন শুধু বিশ্বভারতীর নয়, সারা দেশের অনুষ্ঠান। উপাচার্য বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি এবং সৃষ্টি শেষ করার জন্য এসেছেন।

[আরও পড়ুন:মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে কো-মর্বিডিটি, কোভিড হাসপাতালগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ