দেব গোস্বামী, বোলপুর: বিশ্বভারতীর পিএইচডি ছাত্রীর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। বোলপুর আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে অধ্যাপক। শুক্রবার বোলপুর আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করে পুলিশ।
অভিযুক্ত রাজর্ষি রায়, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ তোলেন এক ছাত্রী। কলকাতার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন নিয়ে পিএইচডি করার জন্য বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে ২০১৫ সালে ভরতি হন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। নথিভুক্তকরণের চার বছরের মধ্যে গবেষণার কাজ প্রায় শেষ হয়। চূড়ান্ত উপস্থাপনার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁর গাইড বা পরামর্শদাতা অধ্যাপক রাজর্ষি রায়কে অনুরোধ করেন। তাঁর বিনিময়ে অশালীন দাবির সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন সময় ওই অধ্যাপক শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে হুগলির জনাইয়ের মনোহরা চেখে দেখবেন অভিষেক, প্রস্তুতি তুঙ্গে]
তাঁর আরও দাবি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে অধ্যাপক তাঁকে চরম অসহযোগিতা করতে শুরু করেন। রীতিমতো ভয় দেখান এবং তাঁর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেবেন বলেও হুমকি দেন। বর্তমানে বিশ্বভারতীর শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগও তাঁর গবেষণার কাজ আটকে রাখেন বলেও অভিযোগ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেও মেলেনি সুরাহা।
বিচার না পেয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গবেষণার ছাত্রীর নির্যাতনের প্রতিবাদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শান্তিনিকেতনে বিক্ষোভও দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ। গত বুধবার শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। শান্তিনিকেতন থানা নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪বি, ৩৫৪ডি, ৫০৪, ৫০৯, ৫০০, ৩৭৬, ৫১১ ধারায় মামলা রুজু করে। শুক্রবার বোলপুর আদালত নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করে। গ্রেপ্তারির পর রবিবার বোলপুর আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে।