Advertisement
Advertisement

ঝড়-জলে ক্ষতিগ্রস্ত রবীন্দ্রস্মৃতি রক্ষায় নয়া উদ্যোগ বিশ্বভারতীর

শান্তিনিকেতনে মহর্ষি ও গুরুদেবের তৈরি একাধিক বাড়ি, স্থাপত্য রক্ষা করা এখন বিশ্বভারতীর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তার মধ্যে অন্যতম উপাসনা মন্দির৷

Visva Bharati's Upasana Griha Will Be Sorrounded By Net
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 18, 2016 9:35 am
  • Updated:June 18, 2016 9:35 am

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই শান্তিনিকেতনে ভেঙে পড়ে একের পর এক গাছ৷ আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক হেরিটেজ বাড়ি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন৷ ভেঙে পড়েছে ফেনসিং৷ তাই গাছ ঘেরা উপাসনা মন্দিরকে বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷ গাছের ডাল কেটে ফেলার পাশাপাশি মন্দিরে মনোরম পরিবেশ ধরে রাখতে এক ধরনের আধুনিক নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে গাছগুলি৷ এর ফলে গাছ ভেঙে পড়লেও মন্দিরের উপর পড়বে না৷ বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে মন্দির৷
মহর্ষি যখন শান্তিনিকেতনের সূচনা করেন তখন পুরো এলাকাটি ছিল লালমাটির রুক্ষ প্রান্তর৷ গাছ প্রায় ছিল না বললেই চলে৷ তারপর থেকে শান্তিনিকেতনকে সবুজ করে তুলতে মহর্ষির পাশাপাশি উদ্যোগ নেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ সূচনা হয় বৃক্ষরোপণ উৎসবের৷ বর্তমানে শান্তিনিকেতন এমন একটি জায়গা যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে আনা কয়েক হাজার গাছ রয়েছে৷ বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে মহর্ষি ও গুরুদেবের তৈরি একাধিক বাড়ি, স্থাপত্য রক্ষা করা এখন বিশ্বভারতীর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তার মধ্যে অন্যতম উপাসনা মন্দির৷
১৮৯১ সালে মহর্ষির নির্দেশে কলকাতার সিকদার কোম্পানি এটি তৈরি করে৷ মূলত কাচ, কাঠ এবং লোহার ফ্রেম দিয়ে তৈরি৷ উপরের ছাদে ব্যবহার করা হয়েছে মাটির টালি৷ বর্তমানে একাধিক বড় গাছ ঘিরে রয়েছে এই মন্দির৷ গত সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টিতে শান্তিনিকেতনে ভেঙে পড়েছিল একাধিক গাছ৷ তার পর থেকে উপাসনা মন্দিরকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত জানান, ”মহর্ষি ও গুরুদেবের তৈরি বিভিন্ন বাড়ি ও স্থাপত্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ৷ সেগুলি রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য৷ তার জন্য আমরা একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছি৷ বিভিন্ন ভবন সংস্কারের কাজ চলছে৷ উপাসনা মন্দিরটিকে বাঁচাতে গাছের ডাল কাটার পাশাপাশি এক ধরনের আধুনিক নেট দিয়ে গাছগুলি ঘিরে দেওয়া হবে৷ মূলত বিদেশে এগুলি ব্যবহৃত হয়৷ খুব তাড়াতাড়ি এর কাজ শুরু হবে৷”

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ