Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জল পৌঁছল কানু সান্যালের গ্রামে, স্থায়ী সমাধানের অপেক্ষায় বাসিন্দারা

আপাতত প্রতিদিন জলের দুটি করে ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে বলে খবর।

Water supply reached at Kanu Sanyal's area after orders from Mamata Banerjee | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 8, 2023 11:43 am
  • Updated:December 8, 2023 11:43 am

তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশমতো নকশালবাড়ির সেবদোল্লাজোতে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠাল শিলিগুড়ি পুরনিগম। অবশেষে কানু সান্যালের গ্রামে পৌঁছল জল। এর ফলে যারপরনাই খুশি ওই গ্রামের বাসিন্দারা। তবে, তবে ট্যাঙ্ক থেকে জল নিলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা।

শিলিগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত নকশালবাড়ি এলাকার একটি গ্রাম সেবদোল্লাজোত। কানু সান্যালের গ্রাম বলে বেশি পরিচিত জনপদ। তবে তিনি জীবিত থাকাকালীনও গ্রামে জলকষ্ট ছিল। এলাকার বাসিন্দারা মাঞ্জা নদীর জল ব্যবহার করতেন। এমনকী, কানুবাবু নিজেও নদীর জল পান করতেন। সময়ের পরিবর্তন হলেও গ্রামে পানীয় জলকষ্ট থেকেই যায়। জনবসতি বাড়তে থাকায় নদীর জল দূষিত হয়। সমস্যা আরও বাড়ে। এর পর গ্রামবাসীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় জলের কল বসানো হয়। ২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি জলের লাইন দেওয়ার জন্য আবেদন জমা পড়ে। কিছুদিনের মধ্যে মাত্র ১৪টি বাড়িতে জলের পাইপলাইন দিয়ে রাস্তার ধারে কলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই বছরই বাড়িগুলোতেও জল সরবরাহ বন্ধ হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফর্মের আড়়ালে রেলে চাকরির টোপ! আর্থিক প্রতারণায় গ্রেপ্তার ৩]

এরপর ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো শুরু করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। তাই নিরুপায় হয়ে ২০২৩ সালের মে মাসে হাই কোর্টে মামলা করেন তাঁরা। কিন্তু জলকষ্ট থেকেই যায়। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা উঠলে তিনি প্রতিটি গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। এর পর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে। মঙ্গলজোত, সেবদোল্লাজোত, ঝাড়ুজোতের ১ হাজার ৫০০ বাড়িতে জলের লাইন দিতে।

Advertisement

কানু সান্যালের ছায়াসঙ্গী দীপা হালদার বলেন, ‘‘এই জলকষ্ট নিয়ে আমরা বছরের পর বছর কাটিয়েছি। এবার আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। তাই হাই কোর্টে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের টাকা নেই কিন্তু এক আইনজীবী বিনা পারিশ্রমিকে আমাদের মামলা লড়ছেন।’’ এদিকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিতে গ্রামে জল পাঠানো শুরু হয়। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রতিদিন দুটি ট্যাঙ্ক জল পাঠানো হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে জলের লাইন চলে যাবে। আপাতত জলের সমস্যা নেই।’’

[আরও পড়ুন: আরও জটিল ঝালদার রাজনীতি! তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলের কাউন্সিলরদেরই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ