BREAKING NEWS

২২ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘দলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই হার’, নেতৃত্বকে দুষে বিস্ফোরক অভিযোগ জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থীর

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: May 5, 2021 8:51 am|    Updated: May 5, 2021 8:54 am

WB Election Result: BJP candidate blames party for defeating at Jalpaiguri

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উনিশের লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি (BJP)। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটে সেই এগিয়ে থাকা জায়গা থেকেই সম্পূর্ণ ভরাডুবি। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) প্রায় জেতা আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার প্রদীপ কুার বর্মার কাছে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুজিত সিনহা। তাও মাত্র ৯৪১ ভোটের ব্যবধানে। আর এই শোচনীয় হারের জন্য তিনি দায়ী করেছেন দলীয় নেতৃত্বকেই। বিস্ফোরক অভিযোগের সুরে তাঁর মন্তব্য, ”দলের একাংশ ষড়যন্ত্র করে টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তাতেই হারতে হয়েছে মাত্র ৯৪১ ভোটে। প্রচারে দলীয় নেতৃত্বকেও পাশে পাওয়া যায়নি। নইলে জলপাইগুড়িতে বিজেপি আসলে হারেনি।” এ নিয়ে জেলা দলীয় স্তরে রীতিমতো কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। এর রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।

উত্তরবঙ্গে যে কটি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের, তার মধ্যে অন্যতম এই জলপাইগুড়ি। ২০১৯এর লোকসভা ভোটের অঙ্ক বলছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে বিধানসভা ভোটেও সহজ লড়াইয়ে জয় মিলবে বলে নিশ্চিত ছিল ‘পদ্ম’ নেতৃত্ব। কিন্তু রবিবার, ভোটের ফল প্রকাশিত হতে দেখা গেল সম্পূর্ণ উলটো ছবি। প্রায় জেতা আসনে হাজারেরও কম ভোটে বিজেপি প্রার্থী সুজিত সিনহা পরাজিত হয়েছেন। এরপরই দলীয় নেতৃত্বের উপর হারের দায় চাপিয়েছেন প্রার্থী সুজিত সিনহা। অন্তর্ঘাত করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগে সরব তিনি। প্রাপ্ত ভোটের হিসেব দেখিয়ে তাঁর অভিযোগ, ”শহরাঞ্চলে জনতার ভোট পেলেও, গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রায় শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে। অথচ গ্রামীণে দলের বেশ শক্ত ঘাঁটি। এখানে এই ফলাফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।” আর এতেই তিনি দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন।

[আরও পডুন: তারকেশ্বরে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে ‘খুন’, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে

অবশ্য প্রার্থীর এই অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিয়েছেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীও। তিনি জানিয়েছেন, কে বা কারা এই হারের জন্য দায়ী, তা চিহ্নিত করে জেলা থেকে রাজ্য স্তরে একটি রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে রাজ্য নেতৃত্ব। তাতেই বোঝা যাবে, অন্তর্ঘাত নাকি অন্য কিছু – ৪১০০০ ভোটের লিডের অঙ্ক ২ বছর পর কীভাবে এতটা নেমে গিয়ে প্রার্থীর হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

[আরও পডুন: রাজ্যে রেকর্ড গড়ল করোনাজয়ীর সংখ্যা, একদিনে মৃত ১০৭]

কিন্তু অন্তর্ঘাত হয়ে থাকলে, তার সঙ্গে ঠিক কারা জড়িত? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে জলপাইগুড়ি জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দীপেন প্রামাণিকের নাম। এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সুজিত সিনহার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই তাঁর অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ভাঙচুর, অশান্তিও হয়। পরে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা মিটলেও, ক্ষোভের চোরা হাওয়া যে কোথাও বইছিল, তেমনই মনে করছেন বর্তমান বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি লিখে সেসব কথাই জানিয়েছেন তাঁরা। এখন দেখার, সত্যিকারের গাফিলতি প্রামণিত হলে জেলার নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় বিজেপি।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে