Advertisement
Advertisement

দাঙ্গায় উসকানি, রাজ্যে ‘নিষিদ্ধ’ হতে চলেছে কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন

সন্দীপ চক্রবর্তী: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাদুড়িয়া। আর এ নিয়ে এবার কঠোর পদক্ষেপের পথে রাজ্য। দাঙ্গা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পড়ে সে কারণেই এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে বেশ কিছু মৌলবাদী সংগঠন। Advertisement [ রাজ্যপাল মোদি বাহিনীরই সৈনিক, রাহুলের মন্তব্যে বিতর্কে ঘি ] Advertisement বৃহস্পতিবারই গোয়েন্দাদের রিপোর্ট আসে নবান্নে। জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্টের জন্যই রাজ্যে […]

WB Govt. to ban some organisations for fanning hatred
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 6, 2017 3:17 pm
  • Updated:July 6, 2017 3:28 pm

সন্দীপ চক্রবর্তী: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাদুড়িয়া। আর এ নিয়ে এবার কঠোর পদক্ষেপের পথে রাজ্য। দাঙ্গা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পড়ে সে কারণেই এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে বেশ কিছু মৌলবাদী সংগঠন।

রাজ্যপাল মোদি বাহিনীরই সৈনিক, রাহুলের মন্তব্যে বিতর্কে ঘি ]

Advertisement

বৃহস্পতিবারই গোয়েন্দাদের রিপোর্ট আসে নবান্নে। জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্টের জন্যই রাজ্যে ছড়াচ্ছে সাম্প্রদায়িক অশান্তি। কখনও প্রকাশ্য গিয়েই কোনও কোনও সংগঠনের নেতারা উসকানি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এসেছে। এসব রুখতেই এবার কঠোর হচ্ছে রাজ্য। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম সংগঠনের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া কোনও কোনও নেতাদের প্রকাশ্য বক্তব্য পেশ করার ক্ষেত্রেও চালু হবে সেন্সর।

Advertisement

কোনও সংগঠন যদি রাজ্যে মিটিং-মিছিল করতে চায়, তবে পুলিশ সেই সংগঠনের কার্যকলাপ প্রথমে খতিয়ে দেখবে। তা সন্তোজনক মনে হলে তবেই বিভিন্ন কার্যকলাপের অনুমোদন পাবে সংগঠনগুলি। নবান্নর কাছে পেশ করা রিপোর্টে পরিষ্কার, বাদুড়িয়া ও পরবর্তী ক্ষেত্রে বসিরহাটের একাংশে অশান্তি ছড়ানোয় বহিরাগতদের প্রত্যক্ষ উসকানি রয়েছে। সেই বহিরাগতদের চিহ্নিত করার কাজেও অনেকটা এগিয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে বসিরহাটে আর কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে না রাজ্য। উত্তেজনা কমাতে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলি বন্ধ করে দেওয়া হযেছে। এর ফলে কাজে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

দাঙ্গা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াই শান্তিবাহিনী  ]

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আগে বলেছিলেন, কে কোথায় ফেসবুকে কী পোস্ট করছে, সে ব্যাপারে সবক্ষেত্রে নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। তবে গোয়েন্দারা নিশ্চিত ফেসবুক ও সোশ্যাল সাইটের ভুয়ো পোস্ট ও ছবি এবং কমেন্টের ফলেই দাঙ্গা দ্রুত ছড়িয়েছে। এসবের পিছনেও যে কোনও বড় মাথা কাজ করেছে তা নিয়ে গোয়্ন্দাদের মনে কোনও সংশয় নেই। সেইসব ফেসবুক প্রোফাইলধারী ‘নেতা’দেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গতিবিধিতে এর মধ্যে নজরদারিও শুরু হয়েছে।  রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে তাই এবার মৌলবাদী সংগঠনগুলির কার্যকলাপে রাশ টানতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। এদিকে যতক্ষণ না বসিরহাটের পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ সেখানে কাউকে না যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

[বাদুড়িয়া, দেগঙ্গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন, তোপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ