Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার সিলেবাসে জায়গা পাচ্ছে লোকসঙ্গীত ঝুমুর, চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা কোর্স

নজির গড়তে চলেছে সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়৷

WB govt to start ‘Jhumur’ diploma course
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 9, 2018 1:00 pm
  • Updated:July 9, 2018 1:03 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দেশের প্রাচীন লোকসঙ্গীত ঝুমুর’কে সিলেবাসে ঠাঁই দিচ্ছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি মাসেই পুরুলিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ঝুমুরের ডিপ্লোমা কোর্স। ছৌ-এর পর এই লোকসঙ্গীতকে সিলেবাসে ঠাঁই দিয়ে দেশে নজির গড়তে চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়৷

[ব্যান্ডেল স্টেশনে বসে হস্তমৈথুন, ফেসবুক লাইভে বিকৃতকামীকে চেনালেন তরুণী]

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পুরুলিয়ার সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় এই এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছে। ইতিমধ্যেই এক বছরের এই ডিপ্লোমা কোর্সে ভরতি হতে ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ১২ জুলাই ফর্ম ফিলাপের শেষ দিন। মাত্র ৩ হাজার ১০০ টাকা খরচ করেই এই শিল্পকলার পাঠ নেওয়া যাবে। আপাতত পঞ্চাশটি আসন নিয়ে এই লোকসঙ্গীতের ক্লাস শুরু হচ্ছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঝুমুর অ্যাকাডেমি বোর্ড’ গড়েছে। উপাচার্যকে মাথায় রেখে অর্থাৎ তাঁকে চেয়ারম্যান করে সাত জনের এই বোর্ড সিলেবাস কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটি ইতিমধ্যেই সিলেবাস তৈরি করে দিয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দীপক রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “ঝুমুর ভারতের প্রাচীন লোকসঙ্গীত। সেই সঙ্গীতকে নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে তাই আমরা চলতি মাস থেকেই ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছি।” গত মার্চ মাসে এই জেলা সফরে এলে প্রশাসনিক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই জেলার সঙ্গে মিশে থাকা লোকসংস্কৃতিকে আরও গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই এই প্রাচীন লোকসঙ্গীতকে সিলেবাসে নিয়ে এল সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

[সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত ছবি ভাইরাল করল যুবক, আত্মহত্যার চেষ্টা নাবালিকার]

প্রাচীন এই লোকসঙ্গীতের বিশাল ও বিচিত্র শ্রেণিবিভাগ রয়েছে৷ তবে, টাঁড় ঝুমুরই আদি ঝুমুর হিসাবে পরিচিত৷ তাছাড়া এই লোকসঙ্গীতে দরবারি ঝুমুর উল্লেখযোগ্য। সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ ‘ঝুমুরের উদ্ভব ও বিকাশ’ নামে সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ করে৷ এই বই রচনা করেছেন লোকসংস্কৃতি গবেষক সুভাষ রায়। তিনি ওই বোর্ডের অন্যতম সদস্য। এই ডিপ্লোমা কোর্সে ঝুমুরের এই বই অন্যতম সহায়ক বলে দাবি করে গবেষক সুভাষ রায় বলেন, “আমি যতটুকু জানি এই প্রাচীন লোকসঙ্গীত ঝুমুরকে সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম সিলেবাসে ঠাঁই দিল। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত এই উদাহরণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কাজে আমরা গর্বিত।” ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, আসাম, এমনকী গুজরাট-সহ সারা দেশে এই সঙ্গীতের চর্চা হয়। কিন্তু, এই প্রাচীন লোকসঙ্গীতের আঁতুড়ঘর ছোটনাগপুর মালভূমি। সংস্কৃতে ঝুমুরকে বলা হত ‘জম্বালিকা’। ঝুমুরের বিশারদ সঙ্গীত দামোদর মিশ্র তাঁর ‘সঙ্গীত দামোদর’ গ্রন্থে ঝুমুরের সংজ্ঞা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরুলিয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকা এই সংস্কৃতির আরও প্রসারেই এই সঙ্গীতকে সিলোবাসে নিয়ে আসা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ