Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওলা চালককে তাড়া করে অপহৃত পুলিশকে উদ্ধার খাদ্যমন্ত্রীর

নিজের গাড়ি দিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন জখমকে...

WB minister Jyotipriya Mallick turns saviour foils kidnapping bid
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 24, 2017 11:27 am
  • Updated:October 3, 2019 6:08 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সিভিক পুলিশকে মারধর করে গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয় ওলা চালক। চোখের সামনে সেই ওলা চালকের বেয়াদপি দেখতে পেয়ে নিজের কনভয়ের পুলিশ পাঠিয়ে ধরলেন খাদ্যমন্ত্রী। ওই বেয়াদপ ওলা চালককে শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে সুনীল দত্ত নামে প্রহৃত আহত ওই সিভিক পুলিশের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

[পুজোর আগেই থিমের চমক, শহর মাতাচ্ছে ‘বালির গণেশ’]

বৃহস্পতিবার ব্যস্ত সময়ে ঘটনাটি ঘটে বাইপাসে চিংড়িহাটার কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকায়। সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের দফতরে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। মেট্রোপলিটনের দিকে তাঁর গাড়ি এগোতেই কনভয়ে থাকা এসকর্ট ভ্যানের পুলিশকর্মীরা দেখতে পান পিছনের একটি ওলা গাড়ির চালক এক সিভিক পুলিশকে রাস্তাতেই মারধর করে তাঁকে টেনে গাড়ি তুলে নেয়। সেই অবস্থায় কিছুদূর নিয়ে গিয়ে মা ফ্লাইওভারের কাছে ফেলে দেয় তাঁকে। এই বেয়াদপির গোটা ঘটনাটাই দৃশ্যমান ছিল। মন্ত্রীর এসকর্ট ভ্যানের পুলিশকর্মীরা যেমন তা দেখতে পান, ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যেকেই তা দেখতে পান। ব্যস্ত সময়ে ই এম বাইপাসের উপর এমন ঘটনায় রীতিমতো চমকে যান তাঁরা।

Advertisement

সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় সামনে থাকা মন্ত্রীর গাড়িতে। তখন এক মুহূর্ত দেরি করেননি তিনি। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। গাড়ি থামিয়ে ওই এসকর্ট ভ্যানটিকেই নির্দেশ দেন, ওঁর গাড়িকে এসকর্ট দিতে হবে না। বরং ওই বেয়াদপ ওলাচালককে ধরে আনুক তারা। যেই কথা, সেই কাজ। সঙ্গে সঙ্গে কিছুদূর ধাওয়া করে ওলা চালককে ধরে পুলিশ। সেখানেই কলকাতার ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের ডেকে আখতার হোসেন নামে ওই ওলা চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন মন্ত্রী। সঙ্গে বিধাননগর থানায় ঘটনার অভিযোগও দায়ের করা হয়। পরে মন্ত্রী এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “এই ধরনের গুন্ডামি মানা যায় না। ওই সিভিক পুলিশকর্মীর আরও বড় কোনও ক্ষতি হতে পারত।” এই ধরনের অনলাইন ক্যাব সার্ভিস নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই ক্যাব সংস্থারও তাদের চালককে নিয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এই ধরনের ঘটনা তো নতুন নয়। শহরে মাঝেমাঝেই এভাবে ওলা চালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। এবার তারা পুলিশের গায়ে হাত দিচ্ছে। এই ধরনের সংস্থার চালকরাই এই দুঃসাহস দেখাচ্ছে।” সেক্ষেত্রে এই সমস্ত গাড়িচালকদের আরও বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়োগ করা উচিত বলে মনে করেন ক্ষুব্ধ মন্ত্রী।

Advertisement

[এবার আপনিও আস্ত একটি ট্রামের মালিক হতে পারেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ