বাবুল হক, মালদহ: সোমবার একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে ব্যাহত হয়েছে ভোট প্রক্রিয়া। প্রাণ গিয়েছে প্রায় ২৪ জনের। রাজ্যের ৩০০টিরও বেশি বুথে পুনর্নিবাচনের সুপারিশ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু, ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সাড়ে ৫০০টির বেশি বুথে ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। পরিস্থিতির কিন্তু খুব একটা হেরফের হল না। মঙ্গলবার দিনভর মালদহের রতুয়ার একটি বুথে রীতিমতো বন্দুক কাঁধে দাপিয়ে বেড়াল দুষ্কৃতীরা। ব্যালট বক্স ছিনতাই করে ভোট লুটেরও চেষ্টা করা হল। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই বুথে বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের সাহায্যে শাসকদলই গণ্ডগোল পাকিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর।
[প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুর জের, রায়গঞ্জে নিরাপত্তার দাবিতে এসডিওকে মারধর]
বুধবার ফের ভোট নেওয়া হল রাজ্যের ১৯টি জেলার ৫৭১টি বুথে। বাদ নেই মালদহও। সকাল থেকে জেলার ১০টি ব্লকের ৫৫টি বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। কিন্তু, পুনর্নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল রতুয়ার বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বাখরা অঞ্চলের ৭৬ নম্বর বুথে জড়ো হয় দুষ্কৃতীরা। বুথের ভিতরেও ঢুকে পড়ে তারা। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে। আতঙ্কে বুথ ছেড়ে পালান ভোটার ও ভোটকর্মীরা। বেলার দিকে বুথের বাইরে রী্তিমতো বন্দুক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। ব্যালট বক্স ছিনতাই করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বাহারাল পঞ্চায়েতে বাখরা অঞ্চলের ৭৬ নম্বর বুথে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। কিন্তু, কারা গণ্ডগোল পাকাল? কংগ্রেসের মালদহ জেলা সভানেত্রী মৌসুম বেনজির নূরের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে ভোট লুটের চেষ্টা করেছে শাসক দল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব।
দেখুন ভিডিও:
[রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বলি আরও ১, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪